সাত বছর ধরে পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল নারীর। তার এই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে গেলে স্বামীর সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তিনি দাবি করে বসেন, স্বামীর ঘরে ঠাই দিতে হবে পরকীয়া প্রেমিককে। তার এই দাবি মেনে নেননি দিনমজুর স্বামী। আর এতেই আত্মহত্যা করতে বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে যান স্ত্রী। এমনটাই ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরাখপুরে। এ ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মূলত ৩৪ বছর বয়সী ওই নারীর তিন সন্তান রয়েছে। স্বামী থাকা সত্ত্বেও বিবাহ-বহির্ভূত একটি সম্পর্কও রয়েছে ওই নারীর। দীর্ঘ সাত বছর ধরে তিনি পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করছিলেন। এ বিষয়ে তার স্বামী কিছুই জানতেন না। সম্প্রতি তার স্বামী ওই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন। এরপর তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।
এক পর্যায়ে ওই নারী তার প্রেমিককেও তাদের সংসারে গ্রহণ করার দাবি জানান। তাতে সংসারের আর্থিক হাল আরও মজবুত হবে বলে যুক্তি দেন তিনি। তবে স্ত্রীর এই পরিকল্পনা মেনে নিতে পারেননি তার স্বামী। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া চরমে পৌঁছায়।
একপর্যায়ে স্বামীর ওপর রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই নারী। অভিযোগ, বাড়ির সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটি বেয়ে উঠতে শুরু করেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। পরে খবর দেওয়া হয় এলাকার বিদ্যুত অফিসে।
সেখান থেকে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কর্মকর্তারা ওই নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তবে দীর্ঘক্ষণ খুঁটির ওপরে উঠে বসে ছিলেন ওই নারী।
খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। যদিও শেষপর্যন্ত পুলিশ দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর পর নিচে নেমে আসেন ওই নারী।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ