ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভের ডাক

প্রকাশনার সময়: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৬ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:৩৮

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি বৃদ্ধি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।

এর আগে একইদিন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা স্বাক্ষরিত ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

সেখানে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় এবার শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি বাবদ ৬ হাজার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভাগ উন্নয়ন ফি বাবদ ৬ হাজার টাকা নেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভাগ উন্নয়ন ফি বাতিল করে। ফলে ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সময় আলাদা করে বিভাগ উন্নয়ন ফি দিতে হয়নি। তবে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে নতুন করে করে উন্নয়ন ফি (এককালীন) ৬ হাজার টাকাসহ মোট ১৪ হাজার ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করার কথা জানানো হয়েছে।

এমন প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হলে, বিভাগগুলোর ওপর দায় চাপিয়েছেন তারা। বিভাগগুলোর চাপে ভর্তিতে শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি নামে নতুন করে উন্নয়ন ফি চালু করা হয়েছে বলে বক্তব্য তাদের।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) সৈয়দ মোহাম্মদ আলী রেজা বলেন, আমরা গত ৩ বছর ধরে ভর্তি পরীক্ষার টাকা দিয়ে বিভাগগুলোর উন্নয়ন ফি দিয়ে দিতাম। কিন্তু এখন ইউজিসি নতুন নিয়ম করেছে যে, ভর্তি পরীক্ষার ৪০% টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে রাখতে হবে। যার ফলে বাকি ৬০% টাকা দিয়ে বিভাগগুলোর উন্নয়ন ফি দেওয়া সম্ভব না। এ কারণে আমরা এ বছর থেকে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এককালীন ৬ হাজার টাকা করে নিচ্ছি শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি হিসেবে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তকে অবৈধ ও ন্যাক্কারজনক মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী কনোজ কান্তি রায় জানান, অবৈধ বিভাগ উন্নয়ন ফি শিক্ষার্থী কল্যাণ ফি নাম দিয়ে প্রশাসন যে ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটাকে এক বিন্দুও প্রশ্র‍য় দেয়ার সুযোগ নেই। অর্থলোভী প্রশাসনের এই অতিরিক্ত ফি নেয়ার স্বপ্ন কোনোভাবেই পূরন করতে দেয়া হবেনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের (৫৩ ব্যাচ) এক শিক্ষার্থী জানান, অনেক কষ্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু এখন ভর্তি হতে পারবো কিনা তা নিয়ে আমি খুব চিন্তিত, কারণ এতো পরিমাণ টাকা দিয়ে আমাকে ভর্তি করা আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব না।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ