ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘হটলাইনে অভিযোগ’ পেয়ে রাবিতে দুদকের অভিযান

প্রকাশনার সময়: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণাধীন শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের একটি অংশের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনে অভিযান শুরু করেন রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইনের নেতৃত্বাধীন দুদকের চার সদস্যের একটি দল।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন জানান, কমিশনের ১০৬ হটলাইন নম্বরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এসেছেন। প্রাথমিকভাবে ভবন নির্মাণ কাজে অসঙ্গতি ও অনিয়মের কথাও জানান তিনি।

এদিন দুপুর সোয়া ২টায় অভিযান শেষে মো. আমির হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শহিদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না সেটি খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীসহ অভিযান পরিচালনা করেছি। মূলত আমাদের কমিশনের ১০৬ হটলাইন নম্বরে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এনফোর্সমেন্ট অভিযানে এসেছি। আমরা ভবনসংক্রান্ত সকল নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে ভবন নির্মাণ কাজে অসংগতি ও অনিয়ম পেয়েছি। এরপর আমরা ভবনধসের সাইট পরিদর্শন করবো। পরবর্তীতে সমস্ত আলামত কমিশনের নিকট সাবমিট করার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন শহিদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের মিলনায়তনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ৯ জন আহত হয়েছিলেন। ওই দিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে তদন্ত কমিটির সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আরও সাত কার্যদিবস সময় বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফা সময় শেষ হওয়ার আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে নির্মাণকাজে গাফিলতি পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই প্রকৌশলীকে প্রত্যাহার ও আহত শ্রমিকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩০তম সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শহিদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হল ও ২০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ করছে রূপপুরের ‘বালিশ-কাণ্ডে’ আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ওই দুই ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে।

অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান বলেন, দুদক এসেছিল নির্মাণাধীন এএইচএম কামারুজ্জামান হলের দুর্ঘটনার বিষয়ে। তারা আমাদের কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিল, আমরা দিয়েছি।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ