সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সড়কে নিম্নমানের বিটুমিন: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে দুদকের অভিযান

প্রকাশনার সময়: ০৮ মে ২০২৪, ১৭:১৪

সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার ও অন্যান্য অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (০৮ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

দুদকের সূত্রে জানা যায়, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে নিম্নমানের বিটুমিনের ব্যবহার ও অন্যান্য অনিয়মের ফলে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বেশ কিছু স্থানে পিচ-পাথর জমাট বেঁধে উঁচু ঢিবি হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ফলে যানবাহনগুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহ হতে আজ (বুধবার) একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান পরিচালনাকালে এনফোর্সমেন্ট টিম ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ মহাসড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার রাস্তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। সরেজমিন পরিদর্শন এবং এলাকাবাসীর বক্তব্য পর্যালোচনায় অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়। যা সড়ক নমুনার ল্যাব টেস্টের রিপোর্ট প্রাপ্তিসাপেক্ষে অভিযোগের বিষয়ে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

সেখানে সম্মিলিত জেলা কার্যালয় ঝিনাইদহের সহকারী মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম পরিদর্শন করেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিলেও তিনি জানান, সড়ক নির্মাণ ও সংস্কারে ব্যবহৃত সকল উপাদানের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ল্যাব টেষ্টের জন্য ঢাকায় স্যাম্পলগুলো পাঠানো হবে। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সাথে সড়ক নির্মাণে পরিমাপ-এ কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন সড়কের ঝিনাইদহ-কালীগঞ্জ অংশের নিয়োগকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার সাখাওয়াত বেগ জানান, সড়কটি রোড অ্যান্ড হাইওয়ের। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত অংশে সড়ক সংস্কার শুরু করেছে।

এর আগে, দুদকের টিম সড়ক ও জনপদ বিভাগের অফিসে হানা দেয়। তবে জেলার দুইটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সেখানে কোনো কর্মকর্তাদের দেখা পাননি বলে জানান দুদক কর্মকর্তরা।

প্রসঙ্গত-সড়ক বিভাগের তথ্য মতে, প্রায় ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে শুরু হওয়ায় এই সংস্কার প্রকল্প শেষ হয়েছে গত ১০ এপ্রিল। মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড-জেভি হাসান টেকনোলজি বিল্ডার্স নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজের দায়িত্ব পায়। আর কাজ বাস্তবায়ন করেন ঝিনাইদহের মিজানুর রহমান মাসুম নামের এক ঠিকাদার। এর আগে, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কর বেহাল দশা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। যাতে টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও দুদকের।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ