ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘জীবন চালাতে টাকার দরকার, তাই টেস্ট ছেড়েছি’

প্রকাশনার সময়: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৭

টেস্ট ক্রিকেটকেই একটা সময় প্রাধান্য দিতো পুরো দল। কিন্তু আধুনিক ক্রিকেটের যুগে টেস্টের সেই রমরমা ভাব এখন অতীত। ক্রিকেটের সম্পূর্ণটাই এখন জাঁকজমক আর জৌলুসে ভরা।

যে কারণে সম্প্রতি লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার স্যাম বিলিংস। ধামাকা ক্রিকেট টি-টোয়েন্টি, দ্য হান্ড্রেড খেলার জন্যই টেস্ট ক্রিকেটসহ লাল বলের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিয়ে ফেলেছেন তিনি।

এমন সিদ্ধান্তের জন্য তিনি মোটেই বিচলিত নন, স্পষ্টতই জানালেন স্যাম। দিনের শেষে রোজগারটাই আসল।

তিনিই প্রথম ক্রিকেটার নন, যিনি এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অতীতে বহু ক্রিকেটারই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য টেস্ট ফরম্যাটে অবসর নিয়েছেন। আফগান পেসার নবিন উল হক তো মাত্র ২৪ বছর বয়সেই টেস্ট না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জীবন জীবিকার জন্য প্রয়োজন অর্থের। সেই কারণেই দীর্ঘতম ফরম্যাটের ক্রিকেট ছেড়ে টি-টোয়েন্টিতে বেশি মনোযোগ করতে চলেছেন তিনি। ইংল্যান্ডের হয়ে এখনো পর্যন্ত মাত্র তিনটি টেস্টে খেলেছেন বিলিংস। ফলে লাল বলের ক্রিকেটে তার ভবিষ্যতে মোটেও নিশ্চিত না, সেটা খুব ভালোই বুঝেছেন স্যাম। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা এই ব্যাটার।

ইংল্যান্ডে ঘরোয়া মৌসুম শুরুর আগে এক অনুষ্ঠানে স্যাম বিলিংস বলেন, ‘ক্রিকেটারদের কিছু সময় নিজেদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আর দিনের শেষে ক্যারিয়ার বলতে বোঝায় জীবিকার জন্য অর্থ উপার্জন করা।’

গত বছর দ্য হান্ড্রেড প্রতিযোগিতায় অধিনায়কত্ব করেন ওভাল দলের হয়ে। বিগ ব্যাশ লিগেও খেলেন ব্রিসবেন দলের হয়ে। এছাড়া দুবাই ক্যাপিটালসহ বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন দলের হয়ে খেলে থাকেন ইংল্যান্ডের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

ইংল্যান্ড দলে জনি বেয়ারস্টো এবং বেন ফোকস থাকায় উইকেটরক্ষকের পজিশনে তার জায়গা পাওয়া যে কঠিন, সেকথা বুঝতে পেরেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন বিলিংস। ২০২২ সালে জাতীয় দলে হয়ে তিনটি টেস্ট ম্যাচে খেলেন তিনি।

নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিলিংস বলেন, ‘কোনো কিছু পাওয়ার জন্য আত্মত্যাগ করতেই হয়। যদি টেস্ট ক্রিকেট খেলবো ভাবতাম, তাহলে আমার সিদ্ধান্ত অন্যরকম হতো। আমি তিনটি টেস্ট খেলেছি, তবে কখনোই দীর্ঘ ফরম্যাটের ক্রিকেট আমার প্রথম পছন্দ ছিল না। কারণ এই ফরম্যাটে মাত্র একজন উইকেটরক্ষকই খেলতে পারে সাধারণত। তাই জাতীয় দলের দরজা বন্ধ থাকায় আর টেস্টের প্রতি ঝুঁকছি না।’

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ