ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জয়ের ব্যাটে বাঘের গর্জন, বন্দরচ্যুত চট্টগ্রাম

প্রকাশনার সময়: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:২২ | আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২২:৩১

লো-স্কোরিং ম্যাচটা শেষ দিকে এসে এক দিকেই হেলে গেল। দশম বিপিএলে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে গর্জে উঠল খুলনা টাইগার্স এবং নোঙ্গর করতে না পেরে উল্টো বন্দরচ্যুত হয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চার উইকেটের সহজ জয়ে শুভ সূচনাই করল এনামুল হক বিজয়ের দল।

মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় খুলনা টাইগার্স। ব্যাট করতে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বন্দরের দলটি। ওপেনার আভিশকা ফার্নান্দো (৮) ফিরেছেন দলের ৯ রানের মাথায়। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম শুরুটা ঝলকে করলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। আউট হয়েছেন ১৩ বলে ১৯ রান করে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভার থেকে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান তোলে চট্টগ্রাম।

এরপর ধুঁকতে ধুঁকতে এগোয় চট্টগ্রামের ইনিংস। মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ইবরাহিম জাদরান। তবে তার ইনিংসও লম্বা হয়নি। ২২ বলে ২৪ রান করে আউট হন তিনি। ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১০০ রানের নিচে অলআউট হওয়ার উপক্রম হল চট্টগ্রামের।

তবে শেষ মুহূর্তে ত্রাতা হিসেবে দেখা দিলেন শহিদুল ইসলাম। ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিয়ে ৩১ বলে ৪০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেললেন শহিদুল, যাতে ১০০ পার করল চট্টগ্রাম। ১৯.৫ ওভারের মাথায় ১২১ রান তুলে অলআউট হয় চ্যালেঞ্জার্সরা।

খুলনার হয়ে ১২ রান দিয়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম। এছাড়া ৩টি উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ। ২ উইকেট তোলেন ওশানে থমাস। ১টি উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা কিছুটা আগ্রাসীভাবেই করেন খুলনার ওপেনার এভিন লুইস। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ওপেনিং জুটি। ৬ বলে ১২ রান করে লুইস ফেরার পর, আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ও ফেরেন ৮ বলে ৯ রান করে দলীয় ৩০ রানের মাথায়। তিনে নেমে আশা দেখাতে পারেননি শাই হোপও। ১১ বলে ৯ রান করেন এই ক্যারিবিয়। ফলে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৩৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা।

লক্ষ্যটা মামুলি হলেও দ্রুত উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেই পড়ে যায় খুলনা। তবে সেই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার অভিযানে নামেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং মাহমুদুল হাসান জয়। ধীরেসুস্থে সাবলীল ব্যাটিংয়ে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন দুজন। অযথা ঝুঁকি না নিয়ে দায়িত্বশীল ব্যাটিংই করেন জয়-আফিফ। আর তাতেই রচিত হয় জয়ের ভিত।

কার্যকরী ব্যাটিংয়ে দলের বোর্ডে রান তুলতে থাকেন জয় এবং আফিফ। দুজনের জুটিটা ভাঙে দলের ৭৮ রানের মাথায়। জুটি থেকে রান এসেছে ৪৬। ২৮ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন আফিফ। তবে সঙ্গীকে হারালেও দমে যাননি জয়। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট হাতে বাকি কাজটুকু সারছিলেন তিনি। মাঝে হাবিবুর রহমান সোহান ব্যর্থ হলেও শেষ দিকে জয়ের সঙ্গে দলের হাল ধরেন ফাহিম আশরাফ।

দলকে জয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার পর আউট হন জয়। দলের ১১৪ রানের মাথায় ৪৪ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন মাহমুদুল হাসান।

এরপর বাকি কাজটা বেশ আরামেই সেরেছেন ফাহিম আশরাফ। ১০ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা। ৮ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফাহিম।

চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন এবং শহিদুল ইসলাম। এছাড়া ১টি করে উইকেট তোলেন বিলাল খান এবং নিহাদউজ্জামান। তবে ম্যাচ সেরা হন নাহিদুল ইসলাম।

এদিকে প্রথম ম্যাচে জয়ের পর আজ দ্বিতীয় ম্যাচেই হারের স্বাদ পেল চট্টগ্রাম। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে এবারের বিপিএলে শুভসূচনা করল খুলনা।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ