ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫
যবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার

জরুরি বিভাগ থাকলেও পাওয়া যায় না জরুরি সেবা

প্রকাশনার সময়: ০৯ মে ২০২৪, ১৯:০৬

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে জরুরি বিভাগ থাকলেও অফিস টাইম ছাড়া জরুরি সেবা নিতে পারে না কোনো শিক্ষার্থী। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ওষুধ সংকটসহ নানা অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল সেন্টারের বিরুদ্ধে। আবাসিক চিকিৎসক থাকলেও মেডিকেল সেন্টার বন্ধ থাকায় তার সেবা নিতে পারে না অধিকাংশ শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মেডিকেল সেন্টার থাকলেও কোনো শিক্ষার্থী অফিস টাইমের বাইরে অসুস্থ হলে মেডিকেল সেন্টার বন্ধ থাকায় সেবা নিতে পারে না শিক্ষার্থীরা। চিকিৎসা সেবা পেতে তাদের যেতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ওষুধ সংকটসহ নানা অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির মেডিকেল সেন্টারের বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার এই দুইদিনে অসুস্থ হওয়া নিষেধ।’ বৃহস্পতিবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনসিসির নিয়মিত ক্লাস করার সময় দুইজন ক্যাডেট (২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। কিন্তু মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগে তালা ঝুলে থাকায়, ক্যাম্পাস থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। মেডিকেল সেন্টারে জরুরি বিভাগ থাকা সত্ত্বেও জরুরি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত যশোর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের এখান থেকে মেডিকেল সেবা পেতে মানতে হয় নির্ধারিত সময়, শনিবার থেকে বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪ টা। সেই সময়ের ভিতরেও বেশিরভাগ সময় ফার্মেসিতে গেলে তেমন কোনো ওষুধ পাওয়া যায় না। জরুরি সময় যেই মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু পাওয়া যায় না, সেখানে মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগের কাজটা কি? আমরা দ্রুত সময়ে মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘণ্টা যথাযথ চিকিৎসাসেবা চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী নওরিন ঐশী বলেন, রাতে হলের মেয়েরা প্রায় প্রতিদিনই অসুস্থ হয়ে পরে। এর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো শ্বাসকষ্ট, সেন্সলেন্স হয়ে যাওয়া। এইগুলার জন্য তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ক্যাম্পাস যতক্ষণ খোলা থাকে অর্থাৎ ক্লাস টাইম যতসময় টা পর্যন্ত তারপর সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে। কিন্তু বিশেষ করে বিকেল ৪টার পর যখন মেয়েরা অসুস্থ হয় তখন তাদের বেশ কিছু সময় কষ্ট ভোগ করে ১২/১৩ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যশোর সদর নিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এতে অসুস্থ ব্যক্তির জীবন অনের ঝুকিপূর্ণও হয়ে পড়ে। এইগুলার সমাধান দেওয়া উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবির মেডিকেল সেন্টারের প্রধান চিকিৎসক কর্মকর্তা ডা. দীপক কুমার মন্ডল বলেন, জনবল কম থাকায় ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সেবা চালু হয়নি আমাদের মেডিকেল সেন্টারে। চিকিৎসক নিয়োগ দিলেও তারা কিছুদিন পর চলে যায়। যে কারণে ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস চালু করতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একজন আবাসিক চিকিৎসক রয়েছেন। কেউ যদি অফিস টাইমের বাইরে অসুস্থ হয়, তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি এসে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।

এ সমস্যার সমাধান কবে হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দ্রুতই উপাচার্য স্যারের সাথে শিক্ষার্থীদের সার্বিক সমস্যা নিয়ে কথা বলবো এবং ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা সার্ভিসের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ