ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

বিজয় মিছিল থেকে আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলা 

প্রকাশনার সময়: ০৯ মে ২০২৪, ১৭:৩৬

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর বিজয় মিছিল জেলা আওয়ামী লীগ নেতার উপর হামলা করা হয়। পরে হামলা কারীরা কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) রাতে নড়িয়া উপজেলার এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহত কয়েকজনকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নড়িয়া থানা ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বুধবার ৮ মে নড়িয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিজয়ী হয়েছেন শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম ইসমাইল হক। আর পরাজিত হন নড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মামুন মোস্তফা। নশাসন ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার তালুকদার ও ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কাদের মুন্সি মামুন মোস্তফাকে সমর্থন করেন। আর বিঝারী উপসী তারা প্রসন্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমীন রতন, লিটন হাওলাদার, মাহাবুব ফকির ও নুরুজ্জামান হাওলাদরসহ তাদের স্বজনরা ইসমাইল হকের পক্ষ নেন।

নির্বাচনি ফলাফল ঘোষণার পর সন্ধ্যায় নুরুল আমীন রতন, লিটন হাওলাদার, মাহাবুব ফকির ও নুরুজ্জামান হাওলাদারের নেতৃত্বে ডগ্রি বাজারে বিজয় মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিল থেকে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার তালুকদারের বাসভবন ও বিপনি বিতানে হামলা করা হয়। পরে উভয় পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে দেলোয়ার তালুকদারসহ দুই পক্ষের ১৫ জন আহত হন। তখন দেলোয়া তালুকদারের মার্কেটে ১০টি দোকানের সাটার ভাঙচুর করা হয়।

পরে রাতে দেলোয়ার তালুকদারের সমর্থকরা ডগ্রি মাদবর কান্দির মাদবর বাড়িতে হামলা করে। সেখানে ১০টি বসত ঘর ভাঙচুর করাসহ আসবাবপত্র, গবাদিপশু ও মোটরসাইকেল লুট করা হয়। এ সময় দুই বয়স্ক নারী আহত হয়েছে।

দেলোয়ার তালুকদর ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার স্ত্রী ডালিয়া আক্তার বলেন, আমার স্বামী রাজনীতি করেন। তিনি একজন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নেয়ায় ইসমাইল হক ক্ষুদ্ধ হন। তার সমর্থকরা বিজয় মিছিল করার সময় আমাদের বাড়ি ও মার্কেটে হামলা চালায়। আমার স্বামী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছেন। আমি ইসমাইলসহ ওই সন্ত্রাসীদের বিচার চাই।

নুরুল আমীন রতন, লিটন হাওলাদার, মাহাবুব ফকির ও নুরুজ্জামান হাওলাদারকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। নুরুল আমীনের নম্বরে ফোন করা হলে তার স্ত্রী জামশেদা আক্তার ধরেন। তিনি বলেন, আমার স্বামী ওই ঘটনায় জড়িত নন। তিনি শিক্ষক মানুষ, সন্ত্রাসী কাজে জড়িত নন। রাতে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছেন।

পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন মোস্তফা বলেন, ইসমাল হক বিজয়ী হওয়ার পর আমার কর্মীদের মারধর করছেন। তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। আমরা ঘটনাগুলো পুলিশকে জানিয়েছি।

বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হক বলেন, আমার সকল কর্মীকে বিজয় মিছিল না করার জন্য বলেছিলাম। তারপরও ডগ্রিতে একটি মিছিল করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার তালুকদার তার লোকজন নিয়ে ওই মিছিলে হামলা করেন। তাতে তিনিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। গত রাতে দেলোয়ারের লোকজন আমার সমর্থক মাদবর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। সেখানে নারীদের মারধর করা হয়েছে।

নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডগ্রিতে বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় ৯ ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ