ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সাতক্ষীরা সুন্দরবন রেঞ্জে মধু আহরণ শুরু

প্রকাশনার সময়: ০১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩১

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে ২০২৪ মৌসুমে মধু আহরণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (এপ্রিল) দুপুরে বুড়িগোয়ালীনি ফরেস্ট সরকারি স্কুলে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম আতাউল হক দোলন।

ফরেস্ট অফিসার জামিউল হকের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আইয়ুব ডলি, পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এমকেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী, বুড়িগোয়ালীনি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন মৌয়াল ও মধু ব্যবসায়ীরা উপস্থিতি ছিলেন।

এসময় বক্তরা বলেন, সাতক্ষীরা সুন্দরবনে যে মধু পাওয়া যায়, এটি আর কোথাও পাওয়া যায় না। হাতে গোনা দু-একজন অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে এই এলাকার মৌয়ালদের দুর্নাম হয়েছে। সুন্দরবনের সিংহভাগ বাংলাদেশে হলেও প্রচারে ভারতীয় অংশ। এটি কাটিয়ে উঠতে হবে। তবে সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তা নাহলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে আগামী ১০০ বছর বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে। সড়ক পথে সুন্দরবনের দেখতে চাইলে সাতক্ষীরায় আসতে হবে। সেজন্য সাতক্ষীরা কৈখালিতে মৌমাছি জাদুঘর করা হয়েছে। আগামীতে সুন্দরবনের অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র করা হবে। সুন্দরবনের বিভিন্ন পশুপাখি, গাছ, মৌমাছি দেখি উপার্জন করতে পারবে এই অঞ্চলের মানুষ। আর আপনাদের মাছ কাঁকড়া ধরা লাগবে না, সুন্দরবনের গাছ কাটা লাগবে না। ট্যুরিজম শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। যারা হরিণ শিকার করতো, বিষ দিয়ে মাছ শিকার করতো, তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরে ঘৃণিত কাজ না করার অঙ্গীকার করেছে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৯৫০ কুইন্টাল মধু ও ২৮৬ কুইন্টাল মোম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম দিনে ৬৪ জন মৌয়াল পাশ নিয়ে সুন্দরবনের প্রবেশ করেছে। মধু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ল্যাব স্থাপন করা হবে। ১০ জন হরিণ শিকারী ও বিষ দিয়ে মাছ শিকারী আত্মসমর্পণ করেন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ