ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
আলোকচিত্রী শাওন হত্যা

ছবি তোলার কথা বলে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়

প্রকাশনার সময়: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৫৩

চট্টগ্রামে আলোকচিত্রী শাওন বড়ুয়ার পাঁচ খুনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ইমতিয়াজ আলম মুরাদ (২১), আশহাদুল ইসলাম ইমন (২৪), মো. তৌহিদুল আলম (২৩), মো. বাহার (২২), মো. আলমগীর (৩০)। যাদের টার্গেট বিয়ে-অনুষ্ঠানে ছবি তোলেন এমন ফটোগ্রাফাররাই।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত।

এর আগে, সোমবার দুপুরে শাওনের মোবাইলে ফোন আসে মোহরার একটি ক্লাবে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার কাজ আছে। ফটোগ্রাফি জগতের পরিচিত বড়ভাই জনির ফোনে ‘ক্ষ্যাপ’ ধরে নেয় শাওন। মোবাইল ফোনেই সবকিছু পাকা হয়। অগ্রিম হিসাবে ৫০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো হয়। ইভেন্ট পেয়ে ফটোগ্রাফার শাওন খুশি হয়।

পরিচিত আরেক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ক্যামেরা সংগ্রহ করে একইদিন সন্ধ্যায় বেরিয়ে যায় ভেন্যুর উদ্দেশ্যে। তবে ভেন্যুতে প্রোগ্রাম হচ্ছিলো না জানিয়ে শাওনের বাইকে চেপে তাকে অনন্যা আবাসিকের ভেতরে নিয়ে যায় মুরাদ। যেখানে অপেক্ষা করছিল ইমনসহ আরও অনেকে। সেখানে পৌঁছালে চা-নাস্তা খেতে খেতে শাওনকে জনশুন্য এলাকায় নিয়ে সুযোগ বুঝে ছোরা ধরে ক্যামেরার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। ব্যাগ না দেওয়াতেই ছুরিকাঘাত করে তাকে ভয় লাগানোর চেষ্টা করা হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এভাবেই খুনের শিকার হন ফটোগ্রাফার শাওন বড়ুয়া।

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত বলেন, ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি মোবাইল ধরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে নামে পুলিশ। মোবাইলের কলরেকর্ড যাচাই করে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। প্রথমে বাইরে সিগন্যাল এলাকা থেকে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইমনের তথ্যে বাকিদের নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে বাহারের কাছ থেকে শাওনের ছিনতাই হওয়া ক্যামেরা ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিয়ে-অনুষ্ঠানে যারা ফটোগ্রাফি করে তারাই ওদের টার্গেট। বিভিন্ন মাধ্যমে নম্বর সংগ্রহ করে নামে-বেনামে ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়াই তাদের কাজ। যে নম্বরগুলো ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের ফাঁদ পাতা হয়, তার বেশিরভাগই ছিনতাই করা মোবাইল।

ঘটনাস্থলে পাওয়া অপরাধীদের মোবাইল ফোনে আরও অনেক ফটোগ্রাফারের নম্বর পাওয়া গেছে। যার কারণে আঁচ করা যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে আরো অনেকে জড়িত আছে। তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত বলেও জানান পঙ্কজ দত্ত।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ