ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জিলকদ ১৪৪৫

ফুল ফ্রি স্কলারশিপে জাপান যাচ্ছেন মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী

প্রকাশনার সময়: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৬
মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম রাজিব। ছবি- নয়া শতাব্দী

ফুল ফ্রি স্কলারশিপে জাপানে যাচ্ছেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মডিকুলার বায়োটেকনোলজি (বিএমবি) বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম রাজিব।

তিনি জাপানের সরকারি স্কলারশিপ মেক্সট বা মনবুকাগাকুশো পেয়ে ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র‍্যাজুয়েট স্কুল অফ সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মাস্টার্স কোর্সে নির্বাচিত হয়েছেন।

জানা যায়, ফুল ফ্রি স্কলারশিপে জাপানের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রকম টিউশন ফি, পরীক্ষার ফি বা অন্যান্য কোনো ফি দিতে হয় না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় ফি মওকুফ এবং পাবলিক বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ও অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করে দেশটি। মাসিক উপবৃত্তি, বিমানে যাতায়াত খরচসহ নানা সুযোগ-সুবিধাও মেলে এ বৃত্তি পেলে।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম রাজিব সৃষ্টিকর্তার প্রতি প্রশংসা করে বলেন, “সমস্ত প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার একাডেমিক সুপারভাইজার ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্যারের প্রতি, সায়মা সাবরিনা ম্যামের প্রতি। যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাকে সাহায্য করেছেন। তাদের দিক নির্দেশনা এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করার কারণে আজকের এই অর্জন। এছাড়া কামরুজ্জামান স্যার, নোবেল ভাই, আমার পরিবার, আমার সকল শিক্ষক, বড় ভাই, বন্ধু, ছোট ভাইবোন সবার কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ। সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে এবং যে কোনো বিষয়ে আমাকে উৎসাহ যোগায়। তাই আমার অর্জন সবার। এই অর্জনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, আমি যেন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভালো ভালো অর্জন নিয়ে আসতে পারি।

জাপানের এই স্কলারশিপটি ভালো সিজিপিএ, পাব্লিকেশন, আর রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্সের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়।

স্কলারশিপের জন্য রাজিব আবেদন করেন গত ২০ ডিসেম্বর, পরীক্ষা হয় ৩১ জানুয়ারি। এরপর ফলাফলের প্রকাশ করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর বাংলাদেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ৪ জন শিক্ষার্থী নেওয়া হয়েছে। সিজিপিএ, পাব্লিকেশন, আর রিসার্চ এক্সপেরিয়েন্সের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থী রাজিবের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ময়মনসিংহের কালাদহ গ্রামে। মধুপুর শহিদ স্মৃতি হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং মধুপুর শহিদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে বিশ্বের ১৬০টির মতো দেশ থেকে আসা ছাত্রদের জন্য এ বৃত্তি দেয় জাপান সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা আর সবচেয়ে সম্মানিত। এ বৃত্তির জন্য ভিসা পেলে ভিসায় লেখা থাকে ‘গভট.স্কলার’।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ