বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে জয়ী হয় মিশা-ডিপজল প্যানেল। ইতোমধ্যে কাজও শুরু করেছেন তারা। এর মধ্যেই কমিটি বাতিল চেয়ে বুধবার (১৫ মে) হাইকোর্টে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নাসরিন আক্তার নিপুণ। বিষয়টি নিয়ে এবার কঠোর সমালোচনা করেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি জমা দেওয়া হয়েছে। রিটের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গত মঙ্গলবার রিটটি করা হয় বলে জানান নিপুণের অন্যতম আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়।
নিপুণের এই পদক্ষেপে এবার ক্ষুব্ধ জায়েদ খান। যদিও তাদের পুরোনো দ্বন্দ্বের কথা সবার জানা। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসা নিয়ে দুজনের সেই দ্বন্দ্ব গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। কিন্তু এবার আর জায়েদ খানের সঙ্গে নয়, নতুন কমিটি মিশা-ডিপজল প্যানেল নিয়েও আপত্তি এই নায়িকার।
একটি সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেন, নতুন কমিটিকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন- নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। অথচ এতোদিন পরে উনার মনে হলো, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। আলোচনায় থাকা অথবা কারও প্ররোচনায় এমন কাজ করেছেন তিনি।
জায়েদ খান এটাকে নোংরা মানসিকতা উল্লেখ করে বলেন, ‘শিল্পীরা এত জঘন্য হতে পারে না। তার কারণে শিল্পীদের বদনাম হচ্ছে। আশা করছি, শিল্পীরা সবাই মিলে উনাকে প্রতিহত করবে।’
নিপুণের রিট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এটি আলোচনায় থাকার জন্য করেছেন। ওনার আলোচনায় আসা দরকার। ওনার কারণে সব শিল্পীরা নিচে নেমে যাচ্ছেন।’
দুই বছর আগেও শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ। সেবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খানকে নিয়ে আপত্তি জানান নিপুণ। এবার পুরো শিল্পী সমিতির কমিটির বিরুদ্ধেই আদালতে গেলেন নিপুণ আক্তার। অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের (২০২৪-২৬) ফলাফল বাতিল এবং নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছেন তিনি।
গত ১৯ এপ্রিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট হয়। ২৩ এপ্রিল ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হন মিশা সওদাগর আর সাধারণ সম্পাদক হন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
তবে ডিপজলের চেয়ে ১৭ ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন নিপুণ। সমিতিতে গেল মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন নিপুণ আক্তার। অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ জানিয়ে নিপুণ নির্বাচনী আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় রিটটি করা হয় বলে জানান আইনজীবী পলাশ চন্দ্র রায়।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ