রাসুল (সা.)-এর যুগে মদিনার মাটিতে এমন অমর ঘটনাবলি সংঘটিত হয়েছে যা মহাগ্রন্থ আল-কোরআন লিপিবদ্ধ করে রেখেছে এবং বর্ণনাকারীগণ যুগের পর যুগ বর্ণনা করেছে। আর তা হলো, সেই আওস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয়ের জীবনবৃত্তান্ত; যারা গৌরবের পদক অর্জনের অধিকার লাভ করেছিলেন। তথা আল্লাহ তায়ালা তাদের ‘আনসার’ নামে নামকরণ করেছেন। তারা হলেন- সেসব মহান ব্যক্তিবর্গ যারা রাসুল (সা.)-এর যুগে বিদ্যমান ছিলেন। আনসার নামটি এমন যার মহত্ত্ব অবশিষ্ট থাকবে এবং চিহ্ন অক্ষুণ্ন থাকবে। এটি ইসলামে শ্রেষ্ঠ মর্যাদা ও সুউচ্চ স্তর হিসেবে বিবেচিত।
আনসার সাহাবিগণ রাসুল (সা.)কে আন্তরিকভাবে ভালোবেসেছিলেন, শক্তি-সামর্থ্য দিয়ে তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এবং হিজরত পরবর্তী রিসালাতের সব পর্যায়ে দৃঢ়তার সঙ্গে তাকে সাহায্য করেছেন। রাসুল (সা.)-এর প্রতি আনসারদের ভালোবাসার উজ্জ্বল চিত্রের অন্যতম হলো— মদিনায় আগমনকালে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো। নবী (সা.) যখন মদিনায় প্রবেশ করেছিলেন তখন মদিনাবাসী আনন্দ-উল্লাসে বের হয়ে আসে। ফলে ওই দিনটি হয়ে ওঠে অনাবিল আনন্দ ও খুশির দিন; অনুরূপ দিন মদিনাবাসী কখনো দেখেনি। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাদের এই সম্মান দান করেছেন যে, তাদের নগরী রাসুল (সা.) ও তার মুহাজির সাহাবিদের আশ্রয় দেয়ার নিবাসে অতঃপর ইসলামের সাহায্যকেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
এই মহৎ কৃতিত্বের সম্প্রসারণ হিসেবে; ইতিহাস মুহাজিরদের প্রতি আনসারদের ভালোবাসাকে অমর করে রেখেছে। যে ভালোবাসা ছিল প্রতিশ্রুতি পূরণ, দান এবং পরার্থপরতার তাৎপর্যে পরিপূর্ণ। মুহাজিরগণ আনসারদের নিকট আগমন করেছিল নিঃস্ব অবস্থায়— যাদের কাছে কোনো সম্পদ ও বাসস্থান ছিল না। আনসারগণ তাদের জানমাল দিয়ে তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করেছিলেন এবং তাদের সঙ্গে বাসস্থান ভাগাভাগি করেছিলেন; যা তাদের মাঝে খাঁটি ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করেছিল এবং তাদের ব্যাপারে কোরআনে আয়াত অবতীর্ণ করা হয় যা তিলাওয়াত করা হয়। ‘আর তাদের জন্যও, মুহাজিরদের আগমনের আগে যারা এ নগরীকে নিবাস হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং ঈমান এনেছে। তারা তাদের কাছে যারা হিজরত করে এসেছে তাদের ভালোবাসে এবং মুহাজিরদেরকে যা দেয়া হয়েছে তার জন্য তারা তাদের অন্তরে কোনো (না পাওয়াজনিত) হিংসা অনুভব করে না, আর তারা তাদেরকে নিজেদের ওপর অগ্রাধিকার দেয় নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও। বস্তুত যাদেরকে অন্তরের কার্পণ্য থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম।’ (সুরা আল-হাশর: ০৯)
রাসুল (সা.) আবদুর রহমান বিন আউফ ও সা’দ বিন রাবী (রা.)-এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে দিলেন। তখন সা’দ (রা.) আবদুর রহমান (রা.)কে বললেন, ‘আনসারদের মধ্যে আমিই সবচেয়ে অধিক সম্পদশালী ব্যক্তি। আমি আমার সম্পদকে দুভাগ করে দিচ্ছি এবং আমার দুজন স্ত্রী রয়েছে। আপনার যাকে পছন্দ হয় তার নাম বলুন, আমি তাকে তালাক দিয়ে দেব। ইদ্দত শেষে আপনি তাকে বিয়ে করে নেবেন। আবদুর রহমান (রা.) বললেন, আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে বরকত দান করুন। আপনাদের স্থানীয় বাজার কোথায়? তারা তাকে বাজার দেখিয়ে দিলেন।
এটি ভ্রাতৃত্বের এমন বন্ধন, ইতিহাসে যার দৃষ্টান্ত বিরল; তা উম্মতের জাগরণ ও রাষ্ট্রীয় সভ্যতার ভিত্তি বিনির্মাণ করেছে এবং শান্তি, নিরাপত্তা ও ইনসাফ ছড়িয়ে দিয়েছে। একজন আনসারি তার মুহাজির ভাইয়ের নিকট প্রস্তাব পেশ করছেন নিজের সম্পদ দুজনের মাঝে দুভাগে ভাগ করে নেয়ার! তবে এই উন্নত অবস্থানটিকে আবার মোকাবিলা করেছে অধিকতর মর্যাদাবোধ। ফলে মর্যাদা ও আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হূদয় এ প্রস্তাব গ্রহণে বিরত থাকল এবং বলল, ‘আল্লাহ আপনার পরিবারে এবং সম্পদে বরকত দান করুন। আমাকে আপনাদের বাজার দেখিয়ে দিন।’
দ্বীনি ভ্রাতৃত্ববোধ বিস্ময় সৃষ্টি করে; এটি দ্বীনের একটি নিদর্শন। কোরআনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে এবং সুন্নাহ এর প্রশংসা করেছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনগণ তো পরস্পর ভাই ভাই।’ (সুরা আল-হুজুরাত: ১০) রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভাই ভাই হয়ে থাকো। এক মুসলিম অপর মুসলিমের ভাই। সে তার ওপর অত্যাচার করবে না, তাকে অপদস্থ করবে না এবং হেয়প্রতিপন্ন করবে না।’ (মুসলিম)
কিয়ামতের দিন যখন সূর্য মানুষের একেবারে নিকটে চলে আসবে, তখন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তার অধিকারীদের মহান ছায়ায় ও পরম দয়াময়ের হেফাজতের আশ্রয়ে নিয়ে আসবে। হাদিসে কুদুসিতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমার মহত্ত্বের কারণে যারা পরস্পরকে ভালোবেসেছে তারা কোথায়? আজ আমি তাদের আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া দান করব। আজ এমন দিন যেদিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া নেই।’ (মুসলিম)
কোনো বিজ্ঞ লোকই সন্দেহ পোষণ করবেন না যে, ভ্রাতৃত্বের এ বন্ধনকে আমাদের এই যুগে হত্যা করা হয়েছে; যেখানে বস্তুবাদী পন্থাগুলোকেই প্রাধান্য দেয়া হয়- যা আমরা পার্থিব বিলাসিতার প্রতিযোগিতা, দুর্বল ও ভঙ্গুর সম্পর্ক এবং হালকা বন্ধনগুলোর মাঝে দেখতে পাই।
খাঁটি ভ্রাতৃত্ববোধের তাৎপর্য উজ্জীবিত করা দ্বীনী ও দুনিয়াবি দাবি। ঈমানি ভ্রাতৃত্ববোধের ছায়ায় একজন মুসলিম তার অপর মুসলিম ভাইয়ের ব্যাপারে আশ্বস্তবোধ করে। তার হূদয়ের সঙ্গে তার হূদয় প্রশান্তি লাভ করে। তার সঙ্গে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তার সাক্ষাতে উদগ্রীব থাকে। তার সঙ্গে দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে। তার ব্যথাতুর সময়ে সে সান্ত্বনা জানায়। ফলে এটি জীবনে সৌন্দর্য এবং হূদয়ে প্রফুল্লতার প্রতিফলন ঘটায়।
আনসার সাহাবিগণ রাসুল (সা.)-এর মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভ করেছেন এবং তারা তাঁর চোখের সামনে প্রতিপালিত হয়েছেন; ফলে তাদের মাঝে কেউ এমন ঘটনার জন্ম দেন যা দেখে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা হাসেন এবং বিস্ময় প্রকাশ করেন। আর এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। হঠাৎ করে রাসুল (সা.)-এর নিকট মেহমান আগমন করলে তিনি বললেন, কে একে মেহমানদারি করাবে? আবেদনে সাড়া দিয়ে একজন আনসারি ব্যক্তি তার মেহমানদারির দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। তাকে সঙ্গে করে তার বাসায় নিয়ে গেলেন। স্ত্রী তাকে বলল, বাচ্চাদের অন্ন জোগানোর মতো খাবার ব্যতীত আর কোনো খাবার নেই। তাই তারা মেহমানকে সম্মান জানানোর জন্য কৌশলস্বরূপ বাতি নিভিয়ে ও বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে দিল; যাতে খাবার পরিবেশন করা হলে মেহমান যেন মনে করে যে তারাও তার সঙ্গে খাবারে অংশগ্রহণ করছে। অথচ তারা উভয়ে অভুক্ত থেকে ক্ষুধার্তাবস্থায় রাত্রিযাপন করল। অতঃপর তাদের কর্মকাণ্ডে আল্লাহ তায়ালা হেসেছেন এবং আশ্চর্য হয়েছেন মর্মে রাসুল (সা.) তাদেরকে সুসংবাদ প্রদান করলেন।
ভাষা এ ঘটনার যথাযথ বর্ণনা দিতে অপারগ। আর তাদের কর্মকাণ্ডে আল্লাহ তায়ালার আশ্চর্য হওয়া ও হাসা-ই ঘটনার গুরুত্ব বোঝাতে যথেষ্ট। মেহমানদারি করা পৌরুষদীপ্ত মানুষের বৈশিষ্ট্য এবং ইসলামি নৈতিকতার অন্তর্গত। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে।’ সে তাকে সম্মান করবে আল্লাহর নিকট সওয়াবের প্রত্যাশায়।
আনসারদের একটি অবস্থান হলো, রাসুল (সা.) তাদের মধ্য থেকে এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে সংবাদ দিয়েছেন যিনি পৃথিবীতে বিচরণ করছেন, অথচ তিনি জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত! হ্যাঁ, তিনি এমন ব্যক্তি যাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়েছে, তিনি জান্নাতে স্থান করে নিয়েছেন; বস্তুত তিনি অন্তরের ইবাদত তথা স্বচ্ছ হূদয়, পরিচ্ছন্ন আচার-আচরণ ও চিত্তের পবিত্রতার মাধ্যমে এই যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। তিনি কেবল ভালো কথাই বলতেন, কোনো মুসলিমকে কল্যাণকর যা কিছু আল্লাহ দিয়েছেন সে বিষয়ে অন্তরে কোনো অহংকার বা বিদ্বেষ পোষণ করতেন না। ঈমান তার অন্তরকে পবিত্র করেছে, তাকওয়া তার আত্মাকে মার্জিত করেছে; অথচ শয়তানের প্রবণতা, অবিশ্বাস ও মন্দ ধারণার প্রাধান্য, প্রতিশোধের স্পৃহা, অবজ্ঞার দৃষ্টিভঙ্গি, ভাইয়ের কাছ থেকে অন্যায় ও আঘাতমূলক কথা, প্রতিবেশীর অত্যাচার এবং আত্মীয়ের কাছ থেকে দুর্ব্যবহার ইত্যাদি মোকাবিলা ও প্রতিরোধ করা সহজ বিষয় নয়।
মানুষের জীবন তো সীমালঙ্ঘন, অবিচার এবং অধিকারের দ্বন্দ্ব দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এমন উজ্জ্বল উদাহরণ বর্জিত নয়; তারপরও সে নিশ্চিন্তে ঘুমায়; প্রতিটি কালো দাগ মুছে ফেলা এবং তার ওপর দিয়ে যাওয়া প্রতিটি বেদনাদায়ক পরিস্থিতি ভুলে যাওয়ার মাধ্যমে।
অন্তরের বিশুদ্ধতা কারও সহজাত বৈশিষ্ট্য হওয়া এবং তা অবিচলিত থাকা কতই না সুন্দর! সে তো সকালে উপনীত হয় এমনভাবে যেন কিছুই ঘটেনি; যারা তার প্রতি অন্যায় ও জুলুম করেছে, আল্লাহর কাছে সওয়াবের প্রত্যাশায় সে তাদেরকে ক্ষমা ও মার্জনা করে দিয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যেন ওদেরকে ক্ষমা করে এবং ওদের দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করে। তোমরা কি চাও না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করুন? আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা আন-নূর: ২২) অর্থাৎ কর্মের ধরন অনুপাতে প্রতিদান নির্ধারিত হয়; আপনি যেমন আপনার বিরুদ্ধে যারা অন্যায় করে তাদেরকে ক্ষমা করেন আমিও আপনাকে ক্ষমা করব, আর আপনি যদি তাদের ভুল-ত্রুটি মার্জনা করেন আমিও আপনার ত্রুটি মার্জনা করে দেব।
যদি এ উপলব্ধি সমাজে ছড়িয়ে যায় এবং সমাজের লোকজন তা অর্জনে আগ্রহী হয়, তবে এর কাঠামো শক্তিশালী ও মজবুত হবে, এর নিরাপত্তা শক্তিশালী হবে এবং পারস্পরিক হূদ্যতা, ভালোবাসা ও সহানুভূতির চেতনা বিরাজ করবে। আর বিরোধ ও সংঘাত পরাজিত হবে ও হ্রাস পাবে এবং সন্দেহ ও সংশয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে।
এতে কোনো সন্দেহ নেই, সুস্থ অন্তরের লোক মানসিক প্রশান্তি ও সুখময় অবস্থায় ঘুমান। পক্ষান্তরে অন্যরা বিছানায় ছটফট করে, রাগে কান্নাকাটি করে, প্রতিশোধ স্পৃহা, হিংসা ও ঘৃণার অনুভূতি তাকে উত্তেজিত রাখে; সে রাতে আরাম পায় না এবং দিনের বেলায় হাসিখুশি থাকতে পারে না।
দ্বীনের সমর্থনে আনসারদের অমর অবস্থানের মধ্যে রয়েছে বদর দিবসে তাদের অবস্থান, যা তাদের পতাকা-বাহক সাদ বিন মুয়াজ (রা.)-এর কথায় প্রতিফলিত হয়েছিল, তিনি রাসুল (সা.)কে বলেন, ‘আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি, আপনাকে সত্যরূপে বিশ্বাস করেছি এবং সাক্ষ্য দিয়েছি যে, আপনি যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছেন তা সত্য; এ ব্যাপারে আমরা আপনার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি; সুতরাং হে আল্লাহর রাসুল! আপনি যেভাবে ইচ্ছে চালিয়ে যান। সেই সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, আপনি যদি আমাদেরকে এই সাগর পাড়ি দিতে বলেন এবং তাতে আপনি নেমে পড়েন, তাহলে আমরা একজনও পিছপা হবো না, আপনার সঙ্গে নেমে পড়ব। কাজেই আল্লাহর দয়ায় আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আপনি চলতে থাকুন।’
তারপর সাদ (রা.)-এর কথা শুনে রাসুল (সা.) আনন্দিত হলেন। দ্বীনকে সমর্থন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বাধ্যতামূলক; এটি অনুসরণ করা, মেনে চলা, নিষেধকৃত বস্তু পরিত্যাগ করা, এর বিধান কায়েম করা, সন্দেহের খণ্ডন করা এবং প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের সঙ্গে এর দিকে আহ্বান করার মাধ্যমে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, তবে তিনি তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা সমূহ সুদৃঢ় করবেন।’ (সুরা মুহাম্মাদ: ৭)
দ্বিতীয় খুতবা
আনসারদের গর্বের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, তারা আল্লাহর রাসুল (সা.)কে সেই দিনে আশ্রয় দিয়েছিলেন যেদিন তাঁকে স্বীয় সম্প্রদায়ের লোকেরা বহিষ্কার করেছিল। কিয়ামত পর্যন্ত এটা তাদের সম্মানের বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।
সুতরাং এতে আশ্চর্যের কিছু নেই যে, আনসাররা সম্মানের মুকুট অর্জন করতে পেরেছিলেন। নবী (সা.) এসব বলে তাদেরকে সম্মান করেছিলেন, ‘আনসারদেরকে ভালোবাসা ঈমানের লক্ষণ, আর মুনাফিকির লক্ষণ হলো আনসারদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা।’ (বুখারি ও মুসলিম), ‘হে আল্লাহ! আনসারদেরকে ক্ষমা করুন, তাদের সন্তানদের ক্ষমা করুন এবং তাদের সন্তানদের সন্তানগণকেও ক্ষমা করুন।’ (নাসাঈ) ‘যে ব্যক্তি আনসারদেরকে ভালোবাসে আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন, আর যে তাদেরকে ঘৃণা করে আল্লাহ তাকে ঘৃণা করেন।’ (বুখারি)
১০ মে ২০২৪ মদিনার মসজিদে নববিতে দেয়া জুমার
খুতবার ভাষান্তর— হারুনুর রশিদ ত্রিশালী
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ