ঢাকা, বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ইন্দুরকানী বাঙ্গির বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

প্রকাশনার সময়: ২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৪

পিরোজপুরের স্থানীয় ভাষায় ফুট নামে সবাই চিনলেও স্থান ভেদে এর অপর নাম বাঙ্গি, খরমুজ, কাঁকুড় ইত্যাদি। নাম যাই হোক, বাঙ্গি একটি স্বাস্থ্যকর ফল। পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং অনেক উপকোরী ফল। পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে এবার বাঙ্গির বাম্পার ফলন হয়েছে। বাঙ্গি চাষ লাভজনক হওয়ায় এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।

গত বছরের তুলনায় এবার এ উপজেলায় কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ১৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। উপজেলার বালিপাড়া, ঢেপসাবুনিয়া, মাঝেরচর, পত্তাশী ও চরনী পত্তাশী গ্রামে দিগন্তজোড়া মাঠে শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। এই সবুজের মাঝে থরে থরে সাজানো আছে বড় বড় বাঙ্গি। দেখলে শুধু চোখ নয় মনও জুড়িয়ে যায়।

সরেজমিনে উপজেলা ঢেপসাবুনিয়া গ্রামে বাঙ্গি খেতে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকের কর্মব্যস্ততা। কেহ বিক্রির জন্য খেত থেকে বাঙ্গি তুলছে, কেহ আবার বাঙ্গি গাছে পানি দিচ্ছে।

বাঙ্গি চাষি ইমাম হোসেন জানান, তিনি, বাহার ও নাসির মিলে এবার ২৪ বিঘা (৮ একর) জমিতে বাঙ্গি চাষ করেছেন। এত তাদের ১ লাখ টাকার মত খরচ হয়েছে। গত বছর একই পরিমাণ জমির বাঙ্গি ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। এবার তারা ৮ হাজার গর্তে ৩২ হাজার (প্রতি গর্তে ৪টি) চারা লাগিয়েছেন। এক্ষেত্রে একটি গর্তে ৩টি করে বাঙ্গি হলেও ২৪ হাজার বাঙ্গি বিক্রির আশা করছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, রমজানের কারণে বাঙ্গির দাম ভালো থাকায় এবার ১৫ লাখ টাকার বেশি বিক্রির আশা করছেন। বর্তমানে খেত থেকে প্রতিটি বাঙ্গি পাইকাররা গড়ে ৭৫ টাকা দরে কিনে নিয়েছেন।

চাষি খোকন শিকদার জানান, আগে যে বাঙ্গি তারা ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতো, এবার তা ৭০/৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে দাম থাকলে ভালো লাভ হবে।

বগুড়া থেকে বাঙ্গি কিনতে আসা বেপারী আব্দুল লতিফ বলেন, ইন্দুরকানী অঞ্চলের বাঙ্গি মানে ভালো। তাই তিনি এখানে বাঙ্গি কিনতে এসেছেন।

লতিফ বেপারী জানান, তিনি কৃষকের কাছ থেকে ৭৫/৮০ টাকা দরে প্রতিটি বাঙ্গি কিনেছেন। খেত থেকে এনে গাড়িতে উঠানো এবং গাড়ি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আড়ত পর্যন্ত পৌঁছাতে বা ঙ্গি প্রতি আরও প্রায় ১৩/১৪ টাকা খরচ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কামরুন্নেছা সুমি বলেন, ইন্দুরকানীর উপজেলার মাটি বাঙ্গি চাষের উপযোগী। উপজেলায় এ বছর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৬৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। গত বছর এখানে ৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হলেও ফলন ভালো এবং লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা বাঙ্গি চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এ বছর আমাদেরর লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি পরিমাণ জমিতে বাঙ্গি চাষের আশা করছি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ