ঢাকা, রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

করলা চাষে দ্বিগুণ লাভে খুশি কৃষক

প্রকাশনার সময়: ০৬ মে ২০২৪, ১৪:৪৫

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে কম খরচে অধিক লাভবান সবজি হিসেবে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে করলা চাষাবাদ। করলা চাষ করে বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকেও চাষিদের নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ।

কালীগঞ্জের চলবলা ইউনিয়নের সবজি চাষি নুর মোস্তফা (৫৫) দীর্ঘদিন ধরে কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি চলতি মৌসুমে তিনি নিজের ২০শতাংশ জমিতে করেছেন করলার চাষ। গত একমাসেই তিনি ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আগামী কয়েক মাসে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবেন বলে আশা করছেন। তার মতো এমন আরও অনেক চাষি উপজেলায় এ বছর করলার চাষ করেছেন।

করলা চাষি আবুল বাশার বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ধান, গম, শাক সবজির চাষাবাদ করি। কৃষিকাজ করেই আমার জীবন জীবিকা চলে। এ বছর গত এপ্রিল মাসে আমি নিজের ২০ শতাংশ জমিতে উন্নত জাতের করলা চাষ করি। ৩৫দিন পরে ফলন আসে। প্রথম দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। প্রতি সপ্তাহে ২দিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০কেজি করলা বিক্রি করছি। এই পর্যন্ত ৩০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করেছি। এই মৌসুমে আরও ৪০ হাজার টাকার করলা বিক্রি করবো বলে আশা করছি।

কাকিনা ইউনিয়নের আরেক চাষি সুমন মিয়া বলেন, আমার ১৫ শতাংশ জমিতে চলতি মৌসুমে করলার চাষ করেছি। আল্লাহর রহমতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ভালো দামও পেয়েছি। আমার পরিবারের মুখে এখন খুশির হাসি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, আমার চলবলা ইউনিয়নে প্রায় ৫০ জন কৃষক করলা চাষে সফলতা পেয়েছেন। কম খরচে অল্প পরিশ্রমে অধিক লাভবান হয়েছেন চাষিরা। ফলনের শুরুর দিকে স্থানীয় বাজারে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে করলা। এখন ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দিন দিন করলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তুষার কান্তি বলেন, করলা একটি অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, নিরাপদ ও বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছি। ক্ষতিকর পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার শিখিয়েছি। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি করলা চাষে ভালো দাম পেয়ে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন করলা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। এতে চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের পরিবারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় চাষিদের সঙ্গে আছি। তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আসছি।

নয়া শতাব্দী/এনএইচ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ