আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলতে প্রধাণত পুলিশ বাহিনীকেই বোঝায়। পুলিশের ওপর জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনযাপন অনেকটাই নির্ভরশীল। উন্নত বিশ্বে পুলিশ জনগণের সার্বক্ষণিক সেবায় নিয়োজিত থাকে। যেকোনো সমস্যায় জনগণ পুলিশের সাহায্য কামনা করে।

পুলিশ সদস্যদের কাজই হচ্ছে, জনগণের যে কোনো সমস্যায় এবং অসহায়, বিপদগ্রস্ত মানুষের প্রতি আন্তরিকভাবে সহযোগিতা ও মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। আর এই কাজটাই অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করে যাচ্ছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে উঠান বৈঠক করে সমাজের আইন না জানা প্রান্তিক মানুষগুলোকে সচেতন করে তুলছেন। এতে করে সমাজের অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ হচ্ছে।

পুলিশের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- মানুষের সেবা করা। সেই সেবা দেওয়ার জন্যই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউটিউবকে ব্যবহার করছেন।

সরজমিনে ধনবাড়ী থানা এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, এসআই জাহাঙ্গীর তার ফেসবুক পেইজে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন আইনি তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তুলছেন। তার ফেসবুক পেইজে দুই মিলিয়নের অধিক মানুষ প্রতিনিয়ত তার পোস্ট করা শর্ট ভিডিওগুলো দেখে উপকৃত হচ্ছেন।

ওয়ারেন্ট কেনো হয়, রিকল কি, রিকল কোথায় জমা দিতে হবে, মিথ্যা মামলা হলে কি করণীয়, প্রতারণার হাত থেকে বাঁচার উপায় কি, প্রতারিত হলে কি করবেন, জিডি করবেন কিভাবে, সড়ক নিরাপদ রাখবেন কিভাবে, হেলমেট পরার উপকারিতা কি- এমনই পার্থিব জীবনে মানুষের চলার পথে প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে তিনি মানুষকে সচেতন করে ভিন্নধর্মী সেবা দিয়ে আসছেন।

এতে করে পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে দূরত্ব কমে আসছে। পুলিশের প্রতি মানুষের নেতিবাচক ধারণা গুলোর ও পরিবর্তন হচ্ছে। সেবায় অনন্য এসআই জাহাঙ্গীর আলমের পোস্ট করা ভিডিওগুলোর কমেন্টসগুলো পড়লেই উপলব্ধি করা যায় তা।

এসব বিষয়ে এসআই জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি নয়া শতাব্দীকে বলেন, চাকরির পাশাপাশি আমি দেশ ও দেশের মানুষের উপকারের জন্য মানবিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকি। মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন ধরণের আইনী বিষয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে থাকি।

তিনি একজন অভিনেতাও বটে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে এবং ইউটিউব চ্যানেলে অভিনয় করে থাকেন এসআই জাহাঙ্গীর। তার লেখা কয়েকটি বইও প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভিক্ষুকসহ বিভিন্ন অসহায় মানুষকে মাঝে মধ্যেই খাবার হোটেলে খাইয়ে থাকেন তিনি।

কুড়িগ্রামের ছেলে হিসাবে ব্যক্তি জীবনেও তিনি অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ এবং একজন চৌকষ পুলিশ অফিসার। তার এমন কর্মকাণ্ডে পুলিশের প্রতি ধনবাড়ী থানা এলাকার মানুষের আস্থা বেড়ে গেছে।

নয়াশতাব্দী/এনএস