ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

মাদরাসা সুপারকে টাকা না দিলে মিলছে না উপবৃত্তি

প্রকাশনার সময়: ০৮ মে ২০২৪, ১৫:৫৮ | আপডেট: ০৮ মে ২০২৪, ১৬:০২

টাকা না দিলে মিলছে না উপবৃত্তি। শিক্ষার্থীদের এমন প্রলোভন দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কলাপাড়ার নীলগঞ্জের আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট আবদুল মান্নারের বিরুদ্ধে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ আক্কেরপুর নুরিয়া দাখিল মাদরাসার জেষ্ঠ্য শিক্ষক (সুপার) মাওলানা আবদুল মান্নান। দীর্ঘদিন যাবৎ নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে স্থানীয়ভাবে বেশ সমালোচিত ব্যক্তি তিনি।

সরেজমিনে গিয়েও মিলেছে, সরকারি বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে অর্থ আদায়ের সত্যতা। ফলে শিক্ষক মহলে নতুন করে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।

তবে এবার তার নিজ প্রতষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ আদায় করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। ৬শ টাকা দিলেই মিলবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপবৃত্তি। শিক্ষার্থীদের এমন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।

আর সরেজমিনে গিয়েও মিলেছে এসব অর্থ গ্রহণের সত্যতা। শিক্ষার্থীরা জানান, ৬শ ৩৯ টাকা দিলে সবাইকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেবেন বলে অর্থ আদায় করেছেন এই শিক্ষক। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিগত দিনে ঘুষ নিলেও তাদের তালিকায় নাম আসেনি। এমনকি পরবর্তীতে সেই টাকাও ফেরত দেননি এমন অভিযোগ একাধিক মাদরাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের।

ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসাম্মৎ নুসরাত, মো. সোলায়মান, গোলাম রাব্বি, মো. জুবায়েরসহ প্রায় ২৮ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, জেষ্ঠ্য সুপারের কাছে ৬শ টাকা দিয়েছে তারা উপবৃত্তির পাবার জন্য।

আর অষ্টম শ্রেণি শিক্ষার্থী বনি আমিনের অভিযোগ, উপবৃত্তির তালিকায় নাম দেয়ার জন্য তার বাবা মাদরাসায় এসে ৬শ টাকা দিয়ে গেছে।

দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসা. নাদিয়া বলেন, উপবৃত্তির জন্য অনেক আগে ৬শ টাকা দিয়েছি। কিন্তু এবছরও টাকা ফেরত দেয়নি। এমন একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ ওই মাদরাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারী মৌলভী আব্দুল মজিদ জানান, শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অফিস খরচের জন্য ৬শ টাকা করে নিয়েছে বলে জানি। কিন্তু কত টাকা নিয়েছে তা বলতে পারবো না।

সহকারী সুপারিনটেন্ডেট আবুল কালাম অর্থ গ্রহণের সত্যতা স্বীকার বলেন, উপবৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য অফিস খরচ বাবদ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। কত টাকা উত্তোলন করছেন তা আমার জানা নেই। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যস্ত থাকি।

এবিষয়ে আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল মান্নানকে না পেয়ে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ