ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৫ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৪

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার পাটাবুকা বড় মসজিদ, পাটাবুকা চেলাবাড়ি ও বলাই কান্দি জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি ) এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভীন বরাবর শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পাটাবুকা ও বলাইকান্দি গ্রামবাসীর শতাধিক জনসাধারণ স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাটাবুকা গ্রামের সামসুদ্দিন সাহেবর বাড়ির পশ্চিমে খালটি সাবেক চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকার লিজ দিয়ে সমস্ত টাকা মসজিদ উন্নয়নের কাজের জন্য দিতেন।

বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ গ্রামবাসী ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্যদের সম্মুখে খালটির লিজের সমস্ত টাকা মসজিদে দেওয়ার কথা বলে খালটি পাটাবুকা গ্রামের মো. চামরুল মিয়া (৩৫) এর নিকট লিজ দেন। লিজ গ্রহণকারী মো. চামরুল মিয়া ২০২৩-২৪ সাল পর্যন্ত লিজ গ্রহণ করে যথারীতি সেবা দিয়ে আসছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মসজিদ কমিটি টাকা পায়নি।

লিজ গ্রহণকারী চামরুল মিয়াকে টাকার বিষয়ে বললে তিনি জানান, গত বছর ৩ লাখ টাকা ও বর্তমান চলতি বছরে সাড়ে ৩ তিন লাখ টাকাসহ মোট ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ তাকে ফোন করে টাকাগুলো ইউপি সদস্য জাকিরুন অর রশিদ শিমুলের নিকট দিতে বলেন এবং ওই টাকা ইউপি সদস্য শিমুলের হাতে তুলে দেন।

চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ লিজের টাকা পেয়েছেন বলে সকল ইউপি সদস্য ও গ্রামবাসীকে অবগত করেন এবং কিছু দিনের মধ্যে মসজিদের টাকা মসজিদ কমিটির নিকট সমজাইয়া দেবেন বলে সকলকে আশ্বস্থ করেন। কিন্তু টাকা চাইলে বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ দেই দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপণ করছেন। যা ইউনিয়ন পরিষদের অনেক ইউপি সদস্য অবগত আছেন। এখন পর্যন্ত টাকা না দেওয়ায় আমাদের গ্রামবাসীর ধরণা হয়, বর্তমান চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ মসজিদের ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন।

পাঠাবুকা ও বলাই কান্দি জামে মসজিদের মুতওয়াল্লী আব্দুর রব জানান, গত দুবছরের লিজের টাকা মসজিদ কমিটি পায়নি, কিন্তু বিগত চেয়ারম্যানের আমলে আমরা নির্ধারিত সময়ে লিজের টাকা পেয়েছি।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মোফাজ্জল হোসেন বলেন, খাল লিজের টাকা চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ গত দুবছর ধরে প্রভাব বিস্তার করে মসজিদে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন।

দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি সদস্য মিয়া হোসেন জানান, সাবেক চেয়ারম্যান বিশ্বজিত সরকার এর সময় লিজ এর টাকা মসজিদে দেওয়া হতো। কিন্তু গত দুবছর ধরে লিজের টাকা মসজিদে না দেওয়া নিয়ে গ্রামবাসীর অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ বলেন, লিজের টাকা খুব শিগগিরই মসজিদ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নয়াশতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ