ঢাকা, শনিবার, ১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ জিলকদ ১৪৪৫

চুয়াডাঙ্গায় নতুন-পুরনোর লড়াইয়ে পুরনোরাই জয়ী

প্রকাশনার সময়: ০৯ মে ২০২৪, ১৭:০২

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া অনেকটাই শান্তিপূর্ণ ও সুনসান পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৯ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এ দুটি উপজেলার ভোটগ্রহণ। ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা। টানা ৮ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ কার্যক্রম চলার পর বিকেল ৪টার পর থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। এরপর রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এতে বেসরকারিভাবে দামুড়হুদা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয় দফায় আলি মুনছুর বাবু ও জীবননগর উপজেলায় হাফিজুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। নতুন পুরনোর এ লড়াইয়ে পুরনো চেয়ারম্যানরাই আবারও জয়ী হয়েছেন।

ভোট চলাকালে দেখা যায়, সকাল থেকেই দুটি উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে সাধারণ ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। বেলা গড়ালেও সেভাবে বাড়েনি উপস্থিতির হার। সবমিলিয়ে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় ভোট প্রদত্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৪৩ এবং ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশে।

ফলাফলের হিসাবে দেখা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলি মুনছুর বাবু ৪৯ হাজার ৯৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এস এ এম জাকারিয়া আলম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫৩০টি ভোট। আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের অ্যাড. আবু তালেবের মোট প্রাপ্ত ভোট ২ হাজার ৫৯০টি।

এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শফিউল কবীর ইউসুফ নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এ পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি। অপরদিকে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তানিয়া খাতুন ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৩৩ হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাহিদা খাতুন। তিনি কলস প্রতীক নিয়ে ২৯ হাজার ৪৭ ভোট পেয়েছেন।

দামুড়হুদা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮২২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৪ হাজার ৮৭৯ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২২ হাজার ৯৪৩ জন। উপজেলার মোট ৯৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৩ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন। এখানে মোট ভোটারের মধ্যে প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ২৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

জীবননগর উপজেলায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের হাফিজুর রহমান ৩৩ হাজার ৫৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এস কে লিটন আনারস প্রতীক নিয়ে ২৩ হাজার ৬১৭টি ভোট পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈসা নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এ পদে এখানেও ভোটগ্রহণ হয়নি। তবে, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রেনুকা আক্তার রিতা হাঁস প্রতীক নিয়ে ৩৬ হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার এক মাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী। তিনি কলস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৩৭১ ভোট।

এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ১৬৭ জন ও নারী ভোটার ৭৭ হাজার ২২৯ জন। উপজেলার মোট ৬২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন। এ উপজেলায় মোট ভোট প্রদত্ত হয়েছে ৩৭ দশমিক ২৫ শতাংশ।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ