ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

নেকমরদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেহাল দশা

প্রকাশনার সময়: ০৯ মে ২০২৪, ১৫:৪৯

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়ন একটি জনবহুল এলাকা। প্রায় ২৭ হাজার মানুষের বসবাস এ এলাকায়। এসব মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা ভেবে ২০১১ সালে নেকমরদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র চালু করা হয়। প্রথম দিকে এই এলাকার মানুষ ভালো স্বাস্থ্য সেবা পেলেও বেশ কয়েক বছর ধরে অবহেলায় চলছে এর কার্যক্রম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নেকমরদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ঢোকার পথে চাটলাই শুকাতে দেওয়া হয়েছে। দরজা, জানালা ও ওয়াশরুমগুলো ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে। আশপাশের জায়গাগুলোতে ময়লার স্তূপ করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিতরে ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। এসব যেন দেখার কেউ নেই।

অভিযোগ রয়েছে, নেকমরদ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেখানে প্রতিদিন (এমবিবিএস) ডাক্তার বসার কথা কিন্তু সেখানে কোনোদিন ডাক্তার বসেছে এলাকার মানুষ জানে না। এছাড়াও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মাহিনুর আক্তার ঠিকমতো অফিস করেন না। নিজের খেয়াল খুশি মতো অফিসে আসা যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জরুরি সেবায় যেখানে এমবিবিএস ডাক্তারের অনুপস্থিতিতে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার চিকিৎসা প্রদান করার কথা, সেখানে ফার্মাসিস্ট মদন মোহন প্রেসক্রিপশন করছেন এবং রোগীদের ওষুধ দিচ্ছেন। এমন অব্যবস্থাপনার কারণে এই ইউনিয়নের মানুষ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এলাকার মানুষ বলছে, স্বাস্থ্য কেন্দ্র যেন ছাগল দিয়ে হালচাষের অবস্থায় পরিণত হয়েছে।

সাবেক ইউপি সদস্য জবাইদুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, এটি স্বাস্থ্য কেন্দ্র না ব্যবসা কেন্দ্র বাইরে থেকে কিছু বুঝার উপায় নেই। এলাকার অনেক মানুষ এখানে আসে স্বাস্থ্য সেবা নিতে কিন্তু উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মাহিনুর আক্তার রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। কখনো অফিসে আসে ১০টায় আবার ১টায় চলে যায়। আবার কখনো তাকে অফিসে দেখা যায় না। ফার্মাসিস্ট মদন মোহনকে ওষুধ দেওয়াসহ চিকিৎসার সব কাজ করতে হয়। স্বাস্থ্য সেবার মান যদি এমন হয় তাহলে তো এটি থাকার থেকে না থাকাই ভালো। এলাকাবাসীর দাবি, এখানে প্রতিদিন এমবিবিএস ডাক্তার বসুক এবং প্রাপ্য সেবাটুকু দিক।

নেকমরদ ইউনিয়ন উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মাহিনুরের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সাথে এ বিষয়ে কেনো কথা বলবো না। যদি কিছু বলতে হয় আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বলবো।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সামাদ বলেন, অব্যবস্থাপনার বিষয়টি সত্যি। তবে সেটির কাজ করার জন্য ৮ লাখ টাকার বরাদ্দ হয়েছে। উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মাহিনুরের বিরুদ্ধে অনেকেই আমাকে অভিযোগ করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওখানে ডাক্তার প্রয়োজন, তবে উপজেলায় ডাক্তার সংকটের কারণে আপাতত ডাক্তার দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ