ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অযথা বাবার বাড়ি যাওয়ায় স্ত্রীকে ডিভোর্স দিলেন স্বামী

প্রকাশনার সময়: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৫৩

কোনও কারণ ছাড়াই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে যাওয়া, শ্বশুড়বাড়ির সঙ্গে সুসম্পর্ক না রাখা ও স্বামীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার না করার অভিযোগে এক দম্পতিকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির হাইকোর্ট।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। তার অভিযোগ ছিল, উপযুক্ত কারণ ছাড়াই ঘন ঘন বাবার বাড়ি চলে যেতেন তার স্ত্রী। এ ছাড়া শ্বশুড়বাড়ির কারও সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল না তার।

আদালত বলেন, কোনও উপযুক্ত কারণ ও শ্বশুরবাড়ির কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময় অন্তর বাপের বাড়ি চলে যেতেন স্ত্রী। এটা স্বামীর প্রতি মানসিক নিষ্ঠুরতা। এমনকি, এই কারণেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা ব্যক্তিকে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি দিয়েছেন দিল্লির হাইকোর্ট।

উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করে ওই ব্যক্তি জানান, ১৯৯২ সালে তার বিয়ে হয়। স্ত্রীর বিরুদ্ধে বনিবনা হচ্ছিল না বলে ২০১৭ সালে পরিবার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন তিনি। প্রায় পাঁচ বছর ওই মামলা চলছিল। ২০২২ সালে পরিবার আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর দিল্লি হাইকোর্টে যান ওই ব্যক্তি। হলফনামায় তিনি জানান, তার স্ত্রী অস্থিরপ্রকৃতির। নিজের খুশিতে থাকেন। অন্তত ছয়বার তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এমনকি, কাউকে কাউকে বলেছেন যে, তিনি বিধবা, তার স্বামী বেশ কিছু দিন হল মারা গেছেন।

যদিও ওই ব্যক্তির স্ত্রীর আইনজীবী বিরোধিতা করেন আদালতে। তিনি বলেন, শ্বশুরাড়িতে ওই মহিলার শাশুড়ি খারাপ ব্যবহার করতেন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শাশুড়ির সঙ্গে ওই নারীর সম্পর্ক ভাল ছিল না। যদিও তারপরেও ঘন ঘন স্বামীর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছে না আদালত। তাদের পর্যবেক্ষণ, শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করারও কোনও চেষ্টা করেননি তিনি।

অন্যদিকে, স্বামীও এমন কোনও ব্যবহার বা আচরণ করেননি, যার মাধ্যমে মনে হয় যে তিনি কোনওভাবে স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। আদালত বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর এক সঙ্গে থাকার পরেও স্বামীর সঙ্গে কখনও ভাল ব্যবহার করেননি স্ত্রী। স্বামীকে মানসিক অশান্তির মধ্যে রেখেছেন তিনি। এরপরই বিচ্ছেদের অনুমতি দেন আদালত।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ