লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় পা হারিয়েছে আফতাব উদ্দিন (১৭) নামের এক মাদরাসা ছাত্র। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার দাবিতে এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে দাখিল মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

গত ১৭ মার্চ কলাগাছ কাটতে গিয়ে পায়ে দায়ের আঘাত পায় আফতাব। পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। সর্বশেষ ঢাকায় রেফার করা হলে সেখানে চিকিৎসধীন সোমবার (২৫ মার্চ) তার ডান পা কাটার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, আফতাব উদ্দিন দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র।

ভুক্তভোগী আফতাবের মামা ফিরোজ আলম (৪০) বলেন, সামান্য একটু কাটা নিয়ে আফতাবকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভুল চিকিৎসার কারণে আফতাব উদ্দিন এখন তার পা হারিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

সহপাঠী আবদুস সালাম বলেন, আমার বন্ধু আফতাবকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসক স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মাদরাসার পরিচালক আবুল কাসেম বলেন, আফতাব আমার পরিচালিত মাদরাসার দশম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র। সম্প্রতি সে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়েছে। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিচার দাবি করছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক কর্মচারী জানান, ছেলেটিকে ১৭ মার্চ জরুরি বিভাগে আনা হয়। বার বার ড্রেসিং করতে বলেছে চিকিৎসক। ধীরে ধীরে তার অবস্থার অবনতি হলেও পরিবারকে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেননি জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আফতাবের বাবা মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪২) মালয়েশিয়া প্রবাসী। ছেলের ভবিষ্যত চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ছেলের মা হোসনেয়ারা বেগম (৩৫)।

তিনি বলেন, ‘আঁর হুতেরে হেগুনে ফঙ্গু করি দিছে। আঁই এর বিচার ছাই। আর যেন কারো ক্ষতি নো ওয়।’

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবির মোবাইলে বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস