ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পাটুরিয়ায় বাড়ছে যাত্রীচাপ, তবে নেই ভোগান্তি

প্রকাশনার সময়: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৯ | আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৪১

পদ্মা সেতু চালুর আগে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার ছিল দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের এই পথে ফেরি পারাপারের জন্য একটা সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তির শিকার হতেন যাত্রীরা। ফেরিতে ঠাসাঠাসি করে উঠানো হত যাত্রী ও যানবাহন; তিল ধারণের ঠাই পাওয়া যেত না লঞ্চে; আর ঈদের সময় সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেতো কয়েকগুণ।

আর মাত্র কয়েকদিন পরেই ঈদ। এই মুহুর্তে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। আর এই ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অধিকাংশ ঘরমুখোরা পদ্মা সেতু রুট কে বেছে নিয়েছেন। পাশাপাশি পদ্মা সেতু রুট ছাড়াও দক্ষিণের বেশ কয়েক জেলার মানুষ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া পথকেও ঈদযাত্রায় বেছে নিয়েছেন। ফলে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বেশ কিছুটা বেড়েছে যাত্রীচাপ।

রোববার (৭ এপ্রিল) ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জ অংশে পাটুরিয়া ও আরিচা অভিমুখে কিছু সংখ্যক মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের পাশাপাশি কিছু ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও বাস চলতে দেখা গেছে।

পাটুরিয়া ঘাট এলাকা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ যাত্রী ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে লোকাল বাসে করে পাটুরিয়ায় আসছেন। ভোগান্তি ছাড়াই তারা নৌপথ পার হচ্ছেন। দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলোকেও বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না।

এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৪টি ফেরি চালু আছে। আরও একটি ফেরি যুক্ত হবে। অন্যদিকে, আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে পাঁচটি ফেরি চালু আছে। আশাকরি, যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলেও সেগুলোকে খুব সহজে ও নির্বিঘ্নে পার করা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, ঈদের তিন দিন আগে ও পরে সাধারণ পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে, গাড়ির চাপ কম থাকলে পণ্যবাহী গাড়িগুলোকে পার করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষজন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ঈদযাত্রায় ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তি ছাড়াই যানবাহন ও ঘরমুখো মানুষ পার হচ্ছেন।

ফেরিঘাট সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন বেশিরভাগ যানবাহন পদ্মা সেতু ব্যবহার করলেও কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, যশোর, মাগুরা, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বেশ কিছু পরিবহন ও পণ্যবাহী ট্রাক এই নৌপথে চলাচল করছে। সাধারণ সময়ে দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন পারাপার হলেও ঈদ ঘিরে দ্বিগুণ হয়েছে। তবে এবার ভোগান্তি ছাড়াই পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ