নারীকে কেন্দ্র করে পরিবারের অন্য সদস্যদের সুস্থ ও ভালো থাকা নির্ভর করে। নারীর সমস্যা মানে পুরো পরিবারের সমস্যা। এজন্য নারীকে সব সময় প্রাণবন্ত ও সুস্থ থাকতে হবে। কর্মদক্ষতা বাড়াতে হবে। অতিরিক্ত চাপ ও উদ্বেগ ঝেড়ে ফেলতে হবে। নিজেকে প্রাণবন্ত ও সুস্থ রাখার ৫টি উপকারী টিপস এখানে দেওয়া হলো-
উদ্যোমী হতে হবে
সব সময় উদ্যোমী থাকার চেষ্টা করুন। কর্মোদ্যম দিন শরীর ও মনকে চাঙা রাখে। ব্যায়াম ও কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। কাজের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে রাখলে ভালো কাটবে দিন, সেইসঙ্গে ভালো থাকবে শরীর। প্রয়োজনে কী ধরনের ব্যায়াম শরীরের জন্য ভালো হবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ
জীবনে সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অস্বাস্থ্যকর খাদ্য জীবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। সুতরাং সব সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিরাপদ খাবার খাওয়া জরুরি। স্বাস্থ্যকর খাবার তো খেতেই হবে এবং পুষ্টির সবরকম উপাদানে থাকতে হবে ভারসাম্য। মনে রাখবেন, বয়সের কারণে খাবার থেকেই অসুস্থতা ও বদহজম হতে পারে।
শরীরের যত্ন
সুস্থ শরীর সুন্দর জীবন চলাচল নিশ্চিত করে। শরীর অসুস্থ থাকলে কোনো কিছুই ভালো লাগে না। মনের মধ্যে মন থাকে না। তাই শরীরের প্রতি খুবই যত্নশীল হতে হবে। শরীরের ফেটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ডাক্তারের শরণাপন্ন
নারীকে বয়সকালে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে নিয়মিত; যেন ডায়বেটিস, অস্টিওপোরোসিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্য জটিলতার বিষয়ে আগে থেকে সাবধান হওয়া যায়। এসব রোগ উপশমে অথবা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে নারীকে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
শরীরে রোগের উপসর্গ দেখা দিলে তা রোগ কি না জানতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। অনেক সময় কোনোরকম উপসর্গ ছাড়াও কিছু কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিতভাবে করাতে হয়। সেজন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে জানতে হবে বয়স অথবা উপসর্গ অনুযায়ী কোন পরীক্ষাগুলো জরুরি হয়ে উঠেছে।
নয়া শতাব্দী/আরআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ