মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন

প্রকাশনার সময়: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:০৬

সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে অ্যাসিডিটির সমস্যা নতুন কিছু নয়। অ্যাসিডিটির জন্য গলা ও বুক ব্যথা করে। অনেক সময় বেশ ভুগতে হয়। এ জন্য কেউ কেউ অ্যান্টাসিডসহ নানা ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। ওষুধে সাময়িক সময়ের জন্য সমাধান হলেও পরে ঠিকই জেগে উঠে অ্যাসিডিটির সমস্যা। অ্যাসিডিটির কারণে অন্যান্যও অসুখও হয়ে থাকে। তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি-

ডাবের পানি: ডাবের পানি ক্ষারীয় প্রকৃতির এবং এটি পেটের অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে। ডাবের পানি খেলে তা অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রিক অস্বস্তির জন্য একটি চমৎকার প্রতিকার হতে পারে। হাইড্রেশন বজায় রাখতে এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন। এটি প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটও সরবরাহ করে যা হজমে সহায়তা করে।

আদা চা: আদার প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অ্যাসিডিটি কমাতে এবং পাচনতন্ত্রকে প্রশমিত করতে সাহায্য করে। আদা চা তৈরি করার জন্য কয়েক টুকরা আদা গরম পানিতে প্রায় ১০ মিনিটের জন্য সেদ্ধ করুন। তরলটুকু ছেঁকে নিন এবং স্বাদের জন্য একটু মধু বা লেবুর রস যোগ করুন। অ্যাসিডিটি এবং গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি কমাতে এই আদা চা দিনে ২-৩ বার পান করুন।

মৌরি বীজ: মৌরি বীজের কার্মিনেটিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা গ্যাস এবং পেটফাঁপা কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। খাওয়ার পরে এক চা চামচ মৌরি বীজ চিবিয়ে নিন বা মৌরি বীজের চা পান করুন। এক চা চামচ মৌরির গুঁড়া গরম পানিতে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন। হজম সহজ করতে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে এই ভেষজ চা ছেঁকে পান করুন।

ঠান্ডা দুধ: ঠান্ডা দুধ অ্যাসিডিটির জন্য একটি কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকার। কারণ এটি পাকস্থলীর অ্যাসিড দূর করতে সাহায্য করে এবং জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি দেয়। পেটের আস্তরণ প্রশমিত করতে এবং অ্যাসিডিটি উপশম করতে ধীরে ধীরে এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন। এর কার্যকারিতা বাড়াতে এক চা চামচ মধুও যোগ করতে পারেন।

ক্যামোমাইল চা: ক্যামোমাইল চা পেটের আস্তরণের প্রদাহ কমাতে এবং গ্যাস্ট্রিকের অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ৫-১০ মিনিটের জন্য গরম পানিতে একটি ক্যামোমাইল টি ব্যাগ ভিজিয়ে এক কাপ ক্যামোমাইল চা তৈরি করুন। খাওয়ার পরে বা যখনই অ্যাসিডিটি বা পেট ফাঁপা অনুভব করেন তখন এই প্রশমিত চা পান করুন।

আপেল সাইডার ভিনেগার: অম্লীয় প্রকৃতি সত্ত্বেও আপেল সাইডার ভিনেগার পাকস্থলীর অ্যাসিডের মাত্রায় ভারসাম্য রাখতে এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই টেবিল চামচ কাঁচা এবং ফিল্টার না করা আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। অম্লতা রোধ করতে খাবারের আগে বা অস্বস্তি কমাতে গ্যাস্ট্রিক দেখা দিলে এটি পান করুন। জ্বালাপোড়া এড়াতে আপেল সাইডার ভিনেগার সঠিকভাবে পাতলা করতে হবে। তবে এটি পান করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারলে ভালো।

কলা: কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, যা পেটের অ্যাসিড নিরপেক্ষ করতে এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে কলায় প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড রয়েছে যা অ্যাসিডিটি থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। যখনই অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের অনুভব করবেন তখনই একটি পাকা কলা খাবেন। এক কাপ দইয়ের সঙ্গে একটি কলা ব্লেন্ড করে একটি স্মুদি তৈরি করেও খেতে পারেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ