ফেনীর পরশুরামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা, পুল কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধন করবেন ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা। উদ্বোধনী নাম ফলকে সবার উপরে নাম থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের। স্থানীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকলে তার নাম থাকবে নিচে এমন এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নাসিম এমন সিদ্ধান্তের কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যে কয়দিন বেঁচে থাকবেন তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় তাদেরকে সম্মানিত করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

উপজেলা পর্যায়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের সভা উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় তিনি এই সিদ্ধান্তের কথা বলে বাস্তাবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদেরকে সম্মান করা আমাদের দায়িত্ব। দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি সৃষ্টি হবে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সৃষ্টি হবে না। তাই মুক্তিযোদ্ধারা যতদিন বেঁচে থাকবেন, ততদিন তাদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হবে।

তিনি বলেন, তার নির্বাচনি এলাকায় এখন থেকে রাস্তা, পুল কালভার্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাম ফলকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লেখা থাকবে। সংসদ সদস্য হিসাবে যদি তার নাম লেখার বাধ্যবাধকতা থাকে, তাহলে উপস্থিতি হিসাবে নাম লেখা হবে। তবে সবার উপরে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম থাকবে, নিচে সংসদ সদস্য হিসাবে তার নাম লিখতে হবে।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী এসএম শাহ আলম ভূঁইয়ার কয়েকটি রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্যকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানালে সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলার পরিচালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ আহাম্মদ মজুমদার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাহফুজুর রহমান, পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল ও উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান এম সফিকুল হোসেন মহিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

নয়াশতাব্দী/টিএ