ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাখাইন যুদ্ধ বন্ধে চীনের হস্তক্ষেপ

প্রকাশনার সময়: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৯ | আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০৩

মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে জান্তা এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষের অবসান ঘটাতে দেশটিতে পর্যবেক্ষণে গিয়েছে চীনের একটি প্রতিনিধিদল। এর প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাতিসংঘে বেইজিংয়ের দূত জানিয়েছেন, সামরিক শাসকগোষ্ঠীগুলো ছাড় না দিলে এ বিপর্যয় দমিয়ে আনা যাবে না।

অনলাইন রেডিও ফ্রি এশিয়া’র খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মিয়ানমারে পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণে যায় চীনের একটি প্রতিনিধি দল। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের ডেপুটি স্থায়ী প্রতিনিধি গেং শুয়াং বলেছেন, রাখাইনের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে চাইছে বেইজিং। তবে তাদের নেতৃত্ব কে দিয়েছেন বা কাদের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করেছেন, সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি তিনি।

এদিকে সামরিকজান্তাপন্থি মিডিয়াগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১ এপ্রিল মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডো সফরে এসেছিলেন চীনের এশিয়া সম্পর্ক বিষয়ক বিশেষ দূত ডেং সিজুন। তিনি সামরিক জান্তা সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। আলোচনা করেছেন নিরাপত্তা ইস্যু এবং অনলাইনে বিভিন্ন গ্যাংকের তৎপরতা সম্পর্কে।

প্রসঙ্গত, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নভেম্বরে ইতি ঘটায় জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটি নিয়ন্ত্রণ করছে সামরিক জান্তা। তখন থেকেই জাতিগত এই বিদ্রোহীরা সেনাবাহিনীকে ধারাবাহিকভাবে পরাজিত করে চলেছে। তারা সেনাদের কাছ থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাখাইনের পাকতোয়া, মিনবিয়া, মরাউক-ইউ, কাইউকতা, পেন্নাগিউন, মাইবোন, রাথেডাং এবং রামরি। এর মধ্যে পাকতোয়া হলো পাশের চিন রাজ্যের একটি শহর। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৫ মাসের যুদ্ধে শুধু রাখাইনে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ সাধারণ মানুষ। আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ