ঢাকা, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জিলকদ ১৪৪৫

টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে

প্রকাশনার সময়: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫৮

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগামী মে মাসেই এমনটি ঘটতে পারে। ফলে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে টেকনাফে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা বাড়তে পারে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যদের অনুপ্রবেশের ঘটনাও বৃদ্ধি পেতে পারে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে দেয়া জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ওই প্রতিবেদনটি তুলে ধরা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় সন্ত্রাসী দল বা গোষ্ঠী আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করতে পারে। প্রতিবেদনে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় মাদক ও চোরাচালান পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিবেদনে কয়েকটি ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা/মগ) অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অরক্ষিত স্থল ও জল সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রোহিঙ্গাদের রেশনের অবৈধ পাচার রোধ করা ইত্যাদি। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর লড়াই চলছে কয়েক মাস ধরে। আরাকান আর্মির সঙ্গে টিকতে না পেরে প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী ও বিজিপির পাঁচ শতাধিক সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফে আশ্রয় নেন।

এর মধ্যে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্যকে জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সংসদীয় কমিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীকে আরও সচেতন ও সতর্ক থেকে কাজ করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া মাদক নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কঠোরভাবে ‘কিশোর গ্যাং’দমন করার সুপারিশ করেছে কমিটি।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ