ঢাকা, সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৪২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পুড়ছে ঈশ্বরদী, জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রকাশনার সময়: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:১৮

প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী গরমে হাঁসফাঁস। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে ঈশ্বরদী। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই রোদ আর গরমে। রোদের তাপ এতই প্রখর যে বাইরে টেকা কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। গরম থেকে রক্ষা পেতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিকরা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটাই এ বছর ঈশ্বরদীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহব্যাপী ঈশ্বরদীর তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। যা তীব্র তাপপ্রবাহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। টানা তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। রিকশা ও অটোচালকদের সড়কে চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

প্রচন্ড রোদ ও গরমের ভেতরে উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে আখ ক্ষেতে নিড়ানি দেওয়ার কাজ করছেন শ্রমিক জামাল আলি এবং তসলেম আলী। তারা বলেন, রোদ গরমে খুব কষ্ট হলেও বসে থাকলে পেটে ভাত জুটবে না। তাই রোদ গরমের মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে।

দাশুরিয়া থেকে রহিমুল ইসলাম নামে একজন ঈশ্বরদী বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, এই রোদে বেশিক্ষণ বাইরে থাকা যায় না। একটা কাজ ছিল, তাই বের হয়েছি। কাজ শেষ করেই দ্রুত বাসায় ফিরব।

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের সাজেদুল ইসলাম নামের কুলি জানায়, তীব্র তাপদাহে ও গরমে শরীরের কাপড়-চোপড় ভিজে যাচ্ছে। তারপরও পেটের দায়ে কাজ করতে হচ্ছে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ