ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশনার সময়: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫১ | আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৬

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শেখ মোহাম্মদ নুরুন্নবী অপু ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের এক নারী ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৭ মার্চ) মেয়র ও তার সহযোগীকে আসামি করে ভুক্তভোগী শ্রীমতি ছবি রানী থানায় অভিযোগ করেছেন।

মারধরের শিকার নারীর নাম শ্রীমতি ছবি রানী (৪৮) ও তার ছেলে শ্রী জগন্নাথ চক্রবর্তী। ওই নারীর স্বামীর নাম স্বর্গীয় জগদিস চন্দ্র চক্রবর্তী। তাদের বাড়ি দেওয়ানগঞ্জ পৌর শহরের ঠাকুরবাড়ি এলাকায়।

অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, প্রায় শ্রীমতি ছবি রানীর বাড়ির সামনে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা-আর্বজনা ফেলা হয়। প্রায় প্রতিদিন ওইসব ময়লা-আর্বজনায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ওই নারীর পরিবার ও ঠাকুরবাড়ি মহল্লার বাসিন্দারা দুর্গন্ধে বসবাস করা দুরূহ হয়ে দাঁড়ায়। এসব ময়লার দুর্গন্ধে ওই নারী ও তার পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হয়ে যান। এসব বিষয়ে পৌরসভার মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোন অনুরোধই শুনেননি।

পরে পৌরসভার লোকজন শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে ময়লা ফেলতে আসেন। তখন শ্রীমতি বাড়ির সামনে ময়লা ফেলতে না করেন। পৌরসভার লোকজন তার কথা না শুনে, মেয়রকে ফোন করে শ্রীমতি ছবি রানীর বাড়ির সামনে ডেকে আনা হয়। পরে মেয়র অপুর ও তার লোকজন শ্রীমতি ও তার ছেলেকে মারধর করেন।

শ্রীমতি ছবি রানী বলেন, ‘ঘটনার দিন ময়লা ফেলতে না করা হয়েছিল। সেই অপরাধে মেয়র আমার ছেলেকে মারধর করেছেন। ছেলেকে ঘর থেকে টেনে বের করে মারধর করে। মেয়রের লোক আমাকেও মারধর করেছেন। আর মেয়র আমাকে গালিগালাজ করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

পৌরসভার মেয়র শেখ মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন,‘ময়লা নদীর পাড়ে ফেলা হয়। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য পৌরসভা কাজ করেন। সত্যি কথা এটাই ওই নারী একজন ঝগড়াটে। যে কোন সময়, যে কারো সঙ্গে ঝগড়া বাধিয়ে ফেলেন। সেখানে আমি উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। তখন আমি একটু চিল্লাচিল্লি করেছি। এর বেশি কিছু না। ওই নারীর কোনো অভিযোগই সঠিক নয়। ওই নারীর সঙ্গে প্রতিবেশীরাও ঠিকমতো কথাবার্তা বলেন না। কারণ যে কারো সঙ্গে ওই নারী ঝগড়া লাগিয়ে দেন।’

দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব বিশ্বাস বলেন,‘ওই নারীর একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। পুরো বিষয়টির তদন্ত শেষে প্রয়োজন অনুয়ায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ