ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

টানা ১১ হার ঢাকার, চারে চট্টগ্রাম

প্রকাশনার সময়: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০২

শুরুতে উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়লেও টম ব্রুসের সঙ্গে তানজিদ তামিমের জুটিতে ভালো সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যে রান তাড়ায় নেমে লড়াই করলেও সুখস্মৃতি নিয়ে বিপিএল শেষ করা হলোনা দুর্দান্ত ঢাকার।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতের ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকাকে ১০ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করে চট্টগ্রাম। রান তাড়ায় নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থামে ঢাকা।

প্রথম ম্যাচ জেতার পর এ নিয়ে টানা ১১ ম্যাচ হেরে এবারের বিপিএল শেষ করলো নবাগত ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বিপরীতে ১১ ম্যাচে ৬ জয় নিয়ে খুলনাকে সরিয়ে চারে উঠে বসলো চট্টগ্রাম।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ওপেনার সৈকত আলি আউট হয়ে যান। মোসাদ্দেক হোসেনের বলে স্লিপে শন উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর চতুর্থ ওভারের শেষ বলে গিয়ে জশ ব্রাউনকে আউট করেন শরিফুল ইসলাম। ১৪ বলে ১১ রান করেন ব্রাউন।

২৪ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন টম ব্রুস ও তানজিদ হাসান তামিম। ৬৮ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তারা। তাদের জুটি ভাঙেন উইলিয়ামস। তার বলে সাব্বির হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৮ রান করে আউট হন ব্রুস।

চট্টগ্রামের পরের ব্যাটাররা কেউই সেভাবে দলের হাল ধরতে পারেননি। তানজিদ হাসান একপ্রান্ত আগলে রেখে আউট হন ১৯তম ওভারে। একটি চার ও ৬ ছক্কায় ৫১ বলে ৭০ রান করেন জুনিয়র তামিম।

ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন শরিফুল, দুটি উইকেট পান তাসকিনও। তবে ৪ ওভারে তিনি খরচ করেন ৩৮ রান। একটি করে উইকেট পান মোসাদ্দেক ও উইলিয়ামস।

রান তাড়ায় নেমে ঢাকার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। শুভাগত হোম এক ওভারের ভেতর তুলে নেন অ্যাডাম রোসিংটন ও সাব্বির হোসেনের উইকেট। ওপেনার নাঈম শেখ ৩৫ বলে ২৯ রান করেন। ঢাকার হয়ে রান করেন অ্যালেক্স রস, পুরো টুর্নামেন্টের মতোই। ৪৪ বলে ৫৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

শেষদিকে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ইরফান শুক্কুর ও মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ দুই ওভারে ৩৩ রান দরকার ছিল। বিলাল খানের করা ১৯তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ ওভারে ২২ রানের সমীকরণ দাঁড় করান ইরফান শুক্কুর। ওই ওভারের প্রথম বলে চার হাঁকান মোসাদ্দেকও।

তবে শেষ অবধি আর ভালো শেষ হয়নি ঢাকার। শেষ ওভারে ১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। ৫ চারে ১৮ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। আর ৮ বলে ১৪ রান করেন ইরফান।

৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন শুভাগত। একটি করে উইকেট পান বিলাল খান, সালাউদ্দিন শাকিল ও শহিদুল ইসলাম। তবে ম্যাচ সেরা হন জুনিয়র তামিম।

নয়া শতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ