জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা, পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুতুল নাচ পরিবেশনা।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য কবি মুহাম্মদ সামাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি মুহাম্মদ সামাদ ১৯২০ থেকে শুরু করে ১৯৭৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবন, আন্দোলন, সংগ্রাম, জেল জীবনের ঘটনার বর্ণনার মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধিকারের ইতিহাস তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর ছাত্র জীবনের মহানুভবতা, পরোপকারী মনোভাব কিংবা চীন সফরে গিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরেন।
মুহাম্মদ সামাদ বলেন, শিশুকালে বঙ্গবন্ধু সকল ধর্মের শিক্ষকের সান্নিধ্য পাওয়ায় তার মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা ছিলো না। আজকের শিশুরা ভবিষ্যৎ বঙ্গবন্ধু হবে, শেখ হাসিনা হবে।
এছাড়াও তিনি গোপালগঞ্জ, কলকাতার বেকার হোস্টেল, ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র নির্বাচন, ৬৬’র ৬ দফা, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ৭১’র উত্তাল জনসমুদ্রে ৭ মার্চের ভাষণ থেকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ গড়ার ইতিহাস শিশুদের সামনে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারলেই বাংলাদেশকে জানা যায়। আর বাংলাদেশকে জানা গেলে দেশের প্রতি মমত্ববোধ জন্মাবে, দেশের ফুল, পাখি, প্রকৃতির প্রতি মমত্ববোধ জন্মাবে। পরিবারের প্রতি শিশুদের বঙ্গবন্ধুর মানবিক গুণাবলি শেখানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করার কথা বলেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ