রক্তশূন্যতা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ একটি বিষয়। রক্তশূন্যতা অন্য রোগের সঙ্গে একটি উপসর্গ হতে পারে। রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কোনো কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে নিচে নেমে গেলে তাকে বলা হয় অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা। ফলস্বরূপ দেখা দেয় ক্লান্তি, দূর্বলতা, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনাকে খেতে হবে এমন সব খাবার, যেগুলো রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ভিটামিন সি
আমাদের শরীরে আয়রন শোষণের জন্য প্রয়োজন হয় ভিটামিন সি। এই ভিটামিনের অভাবে শরীরে আয়রন শোষণ বিঘ্নিত হয়। এর ফলে কমে যায় হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ। লেবু, কমলা, বেরি জাতীয় ফলে পাওয়া যায় ভিটামিন সি। এ ধরনের খাবার খেতে হবে পর্যাপ্ত।
সবজ শাক-সবজি: সবুজ রঙের শাক সবজিতে পাওয়া যায় আয়রন এবং ফোলেট। এই দুই উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফোলেট হলো এক ধরনের ভিটামিন বি। আপনি যদি নিয়মিত পালং শাক খান তবে এই দুই উপাদান পাবেন। ফলে বাড়বে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। এছাড়া অন্যান্য সবুজ শাক-সবজি খাবেন নিয়মিত। পাশাপাশি বেদানা খেতে পারেন। এতে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কাজ করে।
বিটরুট: অনেকটা শালগমের মতো দেখতে গাঢ় লাল রঙের এই সবজি চেনা আছে নিশ্চয়ই? বলছি বিটরুটের কথা। এই সবজিতে থাকে প্রচুর আয়রন। যে কারণে আপনি যদি নিয়মিত বিটরুট খান তবে তা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এতে আরও থাকে ফলিক অ্যাসিড, যা হিমোগ্লোবিন তৈরিতে অবদান রাখে। তাই বিটরুট রাখুন আপনার নিয়মিত খাবারের তালিকায়।
কলা: পাকা কলা কিংবা কাঁচা কলা, উভয়ই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। পাকা কলা ফল হিসেবে খাওয়া হলেও কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। এটি সারাবছরই পাওয়া যায়। কলায় থাকে আয়রন এবং ফোলেট। এই দুই উপাদান হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়। তাই রক্তস্বল্পতা থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আরও অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকা সহজ হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ