মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাস

প্রকাশনার সময়: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৬

ঈদে ১৪ দিনের ছুটিতে শিক্ষার্থীরা বাসায় চলে গেলেও ফাঁকা নেই টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকাল থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

গত ৩ এপ্রিল রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ছুটির বিষয়ে জানানো হয়। পবিত্র মাহে রমজান, শব-ই-কুদর, জুমাতুল বিদা, ইদ-উল-ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে ৬ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া ১৮ ও ১৯ এপ্রিল যথাক্রমে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার হওয়ায় দুইদিন বেশি ছুটি পাবে শিক্ষার্থীরা। মোট ১৪ দিনের ছুটি পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

১৪ দিনের বন্ধ থাকার পরেও ফাঁকা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেখা মিলে দর্শনার্থীদের ভিড়। সাধারণ বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা৬ টা পর্যন্ত দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। ছোট থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের দেখা মিলে।

সেখানকার দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যের ভিডিও ধারণ করতে থাকা অবস্থায় আফসানা ইসলাম তাবাসসুম নামে এক স্থানীয় নারীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু টাঙ্গাইলে অবস্থিত আমি সময় পেলেই এখানে ঘুরতে আসি। এখানকার যে পরিবেশটা আমার কাছে অত্যাধিক ভালো লাগে। এক কথায় বলতে গেলে ভার্সিটির সৌন্দর্য বলে প্রকাশ করা যাবে না।’

কয়েকদিনের টানা বন্ধে কর্মজীবীদের মাঝে খুশির আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। অবশ্য ছুটির প্রথমদিকে তেমন দর্শনার্থী ছিল না। ঈদের দিন থেকেই বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থীদের দেখা মিলে প্রশাসনিক ভবন ও অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে।

ঈদের ছুটিতে ময়মনসিংহ থেকে টাঙ্গাইলে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসা সাব্বির আহমেদ নামে একজন বলেন, ‘আমি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী, আমার বাসা ময়মনসিংহ বাকৃবি ক্যাম্পাসে পাশে। সেই ক্যাম্পাসেই অধিকাংশ সময় কাটে। এই ক্যাম্পাস সম্পূর্ণ আলাদা, ক্যাম্পাসটি ছোট হলেও অনেক সাজানো গোছানো। সেখানে (বাকৃবিতে) এত বড় বড় বিল্ডিং নেই। এটি যে কোনো মানুষের পছন্দ হওয়ার মতো ক্যাম্পাস‌। আমার প্রথম দেখাতেই অনেক পছন্দ হয়েছে।’

অ্যাকাডেমিক কাম রিসার্চ ভবনের (যা তৃতীয় অ্যাকাডেমিক নামে পরিচিত) সামনে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখা মিলে জনসংযোগ ও প্রেস প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হকের সাথে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্ম দিবসের শত ব্যস্ততার পরে এই বন্ধ সময়টুকু পরিবারের সাথে উপভোগ করছেন। দর্শনার্থীদের দেখে তিনিও খুব আনন্দিত।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস দুনিয়ার শ্রেষ্ঠতম জায়গা। মুখরিত ক্যাম্পাস আমার সবচেয়ে ভালোলাগার অনুভূতি। দর্শনার্থীরা ক্যাম্পাসে এসে মুগ্ধ হবে, বিস্মিত হবে সেটাই স্বাভাবিক। তাদের সে সুযোগ দেয়া উচিত। একই সাথে আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, তাদের এই ঘোরাঘুরিতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ও ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা যাতে কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয় সেদিকেও আমাদের নিরাপত্তাপ্রহরীদের খুবই সজাগ থাকতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আলী আকবর এবং যার বেড়ে ওঠাও এই ক্যাম্পাসে। তিনি বলেন, ‘আমার বাসা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি সময় এখানেই কাটে। এখানে পড়ার আগে থেকেই ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া। তাই সবসময় দেখে আসছি ঈদের সময় সবার অফিস বা কর্মক্ষেত্র ছুটি থাকে । তখন পরিবার পরিজনদের নিয়ে সময় কাটানোর জন্য এই জায়গা বেছে নেন। এতো বড় ফাঁকা জায়গা এবং সুন্দর পরিবেশ টাঙ্গাইলের কোথায় নেই। গত কয়েকবছর ধরে লোকজনের ভিড় সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ার মতো। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় কাঠামোগত দিক দিয়েও অনেক পরিবর্তন হয়েছে,‌ সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ