অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ফেনসিডিলসহ জনতার হাতে আটক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া শিক্ষক আহসান আলমগীর আপেল (৪২)।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে পলাশবাড়ী এলাকায় ফেনসিডিলসহ জনতার হাতে আপেলের আটক হওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে, এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

এর জেরে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাতে ডোমার সোনারায় বাজার এলাকার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ।

আটক আপেল সোনারায় এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি ডোমার সদরের একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

পুলিশ জানায়, ফেসবুকে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর আহসান আলমগীর আপেলকে ধরার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। শুক্রবার রাতে আপেল তার বাড়িতে আসলে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়ি থেকে নীলফামারী সদর সার্কেল মোস্তফা মঞ্জুরের (পিপিএম) নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় মাদক ক্রয়-বিক্রয়ে ব্যবহৃত একটি পালসার মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে আপেলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নীলফামারী সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, শিক্ষকতার আড়ালে আপেল দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করে আসছিলেন। তবে শক্তির জোরে তিনি সব সময় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকতেন।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন স্থানে অভিযানের পর আপেলকে আটক করা হয়। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আপেল চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গেলে, একটি কাগজের কার্টন থেকে বেশকিছু ফেনসিডিলের বোতল পড়ে যায়। ওই সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে। কিন্তু কৌশলে আপেল সেখান থেকে পালিয়ে যান। এসময় ফেনসিডিলসহ জনতার হাতে আটক হওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ/এনএস