শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভুয়া সেনার পাল্লায় পড়ে সব হারিয়েছি, মৃত্যু ছাড়া পথ নেই’

প্রকাশনার সময়: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৫:৫৭ | আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:২৭
অভিযুক্ত ভুয়া সেনা সদস্য নাদিম তালুকদার। ছবি- সাইফুল ইসলাম রয়েল

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার লালুয়া ইউপির পায়রা পূণর্বাসন কেন্দ্রে প্রেমিক নাদিম তালুকদারের ঘরের সামনে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী।

ভুক্তভোগী বরিশাল মুলাদী কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এসময় তিনি ‘ভুয়া সেনা সদস্যের পাল্লায় পড়ে সব হারিয়েছি, এখন মৃত্যু ছাড়া পথ নেই’ বলে চিৎকার করেন।

পরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সহযোগীতায় ওই তরুণীকে হেফাজতে নেয় কলাপাড়া থানা পুলিশ।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, মোবাইলে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত এক সুন্দর তরুণ তার সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর এক বছর পরে তাদের সেই সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়। তবে দুই মাস আগে বিয়ের কথা বলে, বরিশাল জেলখানা মোড়ে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন নাদিম। পরে একইভাবে একাধিকবার অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটান দুজন।

তরুণীর অভিযোগ, পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্কে আপত্তি জানালে একজন হুজুর দিয়ে কলমা পড়েন নাদিম।

তিনি বলেন, ওই সময়ে নাদিম বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড দেখান এবং তিনি বান্দরবান সেনানিবাসে দায়িত্বরত থাকায় এই বিয়ে গোপন রেখেছেন বলেও জানান। তবে মধুচন্দ্রিমা কাটানোর পরে জানতে পারি, নাদিম পরিচয় গোপন রেখে তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। মূলত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেই ছদ্মবেশ নিয়েছেন এই প্রতারক।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, সম্প্রতি আমার পরিবার প্রেমের বিষয়টি জানার পরে অন্যত্র বিয়ের ব্যবস্থা করে। কিন্তু নাদিম অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি এবং ভিডিও নেটে আপলোড করে আমাকে একটা খারাপ নারীতে পরিণত করেছেন। এখন আমার পরিবার আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। সকালে নাদিমকে বিষয়টি জানালে, তিনি আমাকে তার বাড়ির ঠিকানা দিয়ে আসতে বলেন। কিন্তু ওঁর বাড়িতে আসলে, পাঁচ বছর পরে বিয়ে করবেন বলে পালিয়ে যান।

এখন আমার মৃত্যু ছাড়া পথ নেই বলেও বিলাপ করেন এই তরুণী।

স্থানীয়রা জানান, নাদিম মূলত একজন টিকটকার। তবে সেনাবাহিনীর জাল আইডি কার্ড তৈরি করে চলাফেরা করেন এই প্রতারক।

এ বিষয়ে জানতে নাদিমের বড় ভাই নাঈম জানান, সেনাবাহিনীর পোশাক ও আইডি কার্ড কোথায় পেয়েছে, তা জানিনা। আর সে কোথায় এখন তাও জানিনা।

কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ জানান, ওই তরুণীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ