ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর বাড়ি: পরিদর্শক নিয়োগের শুনানি শেষ

প্রকাশনার সময়: ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৫

কথাসাহিত্যিক সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর বাড়ির প্রকৃত অবস্থা জানতে পরিদর্শক নিয়োগের আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। নথি দেখে আদেশ দেবেন আদালত। সোমবার ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ ১-এর আদালতে আবেদনের ওপর শুনানি হয়। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ছেলে ইরাজ ওয়ালীউল্লাহ ও মেয়ে সিমিন ওয়ালীউল্লাহ এই আবেদন করেন।

বছর কয়েক আগে পৈত্রিক বাড়ি ফিরে পেতে আইনী লড়াইয়ের নতুন ধাপ শুরু করেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় এই কথা সাহিত্যিকের দুই সন্তান। গুলশানে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর বাড়ি আত্মসাতের ঘটনায় আত্মীয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা চলমান থাকা অবস্থায় বাড়ির পরিস্থিতি জানতে, একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগের আবেদন করেন ইরাজ ও সিমিন। সন্তানদের আশা, জমিটি ফেরত পেলে তারা একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করবেন।

লালসালু, চাঁদের আমবস্যা, কাঁদো নদী কাঁদোর মতো বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী উপন্যাসের রচয়িতা সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ। তাঁর ইচ্ছে ছিলো ফরাসী স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে দেশেই থিতু হতে। এ লক্ষ্যেই ১৯৬৯ সালে গুলশানের ২৬ নম্বর রোডে একটি বাড়ি কেনেন তিনি। বি ব্লকের ১০ নম্বর প্লটের দোতলা বাড়িতে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে কিছুদিন থেকেও গেছেন।

একাত্তরে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও কাজ করেন। কিন্তু দেশ স্বাধীন হবার আগেই অকাল মৃত্যু হয় বাংলার অন্যতম এই কথা সাহিত্যিকের। তখন তার স্ত্রী আন-মারি ওয়ালীউল্লাহ (আজিজা নাসরিন) ছিলেন ফরাসি নাগরিক এবং তাদের দুই সন্তান ছিলেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

এক বিঘা দুই কাঠা জমি এবং তার ওপর দুই তলা ভবনের সম্পত্তি দেখাশুনার জন্য আন-মারি তার স্বামী সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর মামাতো ভাই ও তাদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ কে জেড ইসলামকে আম-মোক্তারনামা দেন।

এর আগে করা ২০২০ সালে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ছেলে ইরাজ ওয়ালীউল্লাহ ও মেয়ে সিমিন ওয়ালীউল্লাহ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে বাড়ির দখল চেয়ে মামলা করেন। মামলায় বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল ফ্রান্স থেকে ঢাকায় আসেন ইরাজ ও সিমিন। মৃত মা আন-মারিকে বাদ দিয়ে সম্পত্তিটি নিজেদের নামে নামজারি করতে চেয়েছিলেন তারা।

ঢাকায় এসে তারা জনতে পারেন যে, বাড়ি ও জায়গা কে জেড ইসলাম তার বড় ছেলে রাইয়ান কামালের কাছে আম-মোক্তারনামার শর্ত লংঘন করে হস্তান্তর করেছেন। তবে সম্পত্তিটি নিজের নামে নামজারি করাতে পারেননি রাইয়ান কামাল। রাজউক তার নামে নামজারি না করায় রাইয়ান কামাল উচ্চ আদালতে যান। সেখানেও নিজের পক্ষে আদেশ পাননি তিনি।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ