ভারতজুড়ে আবারও আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিন গড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন ১৫০ জন। যদিও এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কোনো খবর পওয়া যায়নি।
কয়েকদিন ধরেই চীনে করোনা সংক্রমণের খবর আসছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘বিএফ-৭’ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন করে উদ্বেগ প্রকাশের পর থেকেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে পুরানো আতঙ্ক। আর এসব কারণেই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারত।
গত এক সপ্তাহ ধরে দফায় দফায় কেন্দ্র ও রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ‘মক ড্রিল’। হঠাৎ সংক্রমণ বেড়ে গেলে কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে সেটাই এই ড্রিলের উদ্দেশ্য।
২০২০ সালের মার্চের পর যেভাবে দেশজুড়ে করোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা কিংবা করোনা রোগীদের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছিল; ঠিক একইভাবে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি।
নতুন এই ভ্যারিয়েন্টটি যাতে হুমকি হয়ে উঠতে না পারে, সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতির পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে টিকা কার্যক্রমও। যদিও সাধারণ মানুষের অনেকেই মনে করেন, করোনার টিকা নিলেও নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ।
ভারতে এখন পর্যন্ত ২২০ কোটি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন প্রায় ৯৫ কোটি মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নেওয়া মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ। তবে, নতুন করে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হওয়ায় মানুষের মধ্য এই বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রবণতা আগের চেয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ