ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জিলকদ ১৪৪৫

হাবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটে উপস্থিতির হার ৯৩.২২

প্রকাশনার সময়: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৩

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার উপস্থিতির হার ৯৩.২২।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গুচ্ছভুক্ত হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) কেন্দ্রে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্নাতক পর্যায়ের প্রথমবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা। শনিবার দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হয়। হাবিপ্রবি কেন্দ্রের মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ হাজার ৬১৬ জন। একইদিনে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষা বিকেল ৩.৩০ থেকে ৪.৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পরীক্ষা শুরুর পর হাবিপ্রবির বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।

পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের আজকের পরীক্ষায় উপস্থিতির হার শতকরা প্রায় ৯৩.২২ ভাগ। প্রতিটি ভবন আমি ঘুরে দেখেছি, অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অবর্ণনীয় দুর্ভোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলেই আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মেডিকেল কলেজ, ফায়ার সার্ভিসসহ স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছে।

তিনি আরও বলেন- ভর্তি পরীক্ষার্থী ও তাদের সাথে আগত অভিভাবকগণের যেন কোনো প্রকার ভোগান্তি না হয়, সেদিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। চলমান তাপপ্রবাহসহ যেকোন জরুরী স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাবিপ্রবি মেডিকেল সেন্টার ও অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ডাক্তারসহ ফাস্ট এইড মেডিসিনের ব্যবস্থা এবং আগত পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য প্রতিটি একাডেমিক ভবনের সামনে বসার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাও ছিল। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা, ওয়াসরুম, অসুস্থ/পঙ্গু/প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সেবামূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সামনের অন্যান্য পরীক্ষাগুলোতেও এ ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আগামী ৩ মে ‘বি’ ইউনিট ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা (সকাল ১১টা হতে দুপুর ১২টা) অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা। তীব্র গরম ও শুষ্কতার জন্য হাবিপ্রবি প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ঠান্ডা পানি ও শরবতের ব্যবস্থা করে।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ