রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

সোহরাওয়ার্দী কলেজে পানির ট্যাংকে বানর, টনক নড়লো প্রশাসনের 

প্রকাশনার সময়: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:২০

পুরান ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ছাদে থাকা পানির ট্যাংকে বানর প্রবেশের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এবার নড়েচড়ে বসেছে কলেজ প্রশাসন।

গতকাল কলেজে ট্যাংকে বানরের প্রবেশের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরে সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতির অফিসিয়াল ফেসবুকসহ কয়েকটি গ্রুপে এই নিয়ে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক তোলপাড়।

ভিডিওটি ধারণ করেছিলেন শতদ্রু রায় যীশু নামের সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ রসায়ন বিভাগের ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি সাংবাদিক সমিতিকে বলেন, আমার বাসা ক্যাম্পাসের পাশে। আমার বাসা থেকে ক্যাম্পাসের ছাদে কখন কি হয় সব কিছুই দেখা যায়। ওই টাইমে আমি ছাদে ঘুরতেছিলাম তখন দেখি বানর কলেজের পানির ট্যাংকে গোসল করছে।

একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পানির ট্যাংকিতে বানরের প্রবেশ করা কিছুতেই মানতে পারতেছিল না শিক্ষার্থীরা। এই নিয়ে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এই পানি পান করি এটা দেখার পর নিজ থেকেই ঘৃণা হচ্ছে। এখন থেকে আর কলেজের পানি পান করা যাবে না। এটা দেখার পর কিভাবে পান করবো। এই বিষয়ে অবশ্যই কলেজ কর্তৃপক্ষের নজর রাখা প্রয়োজন।

এই বিষয়ে কলেজে শিক্ষার্থী আলপনা জামান অনন্যা বলেন, হায় আল্লাহ আমিতো পানি ফুটানোর ভয়ে আগে কলেজ থেকে গিয়ে পানি আনতাম মেসে খাওয়ার জন্য। এখন থেকে তা আর করা যাবে না।

এই বিষয়ে আরেক শিক্ষার্থী ইসমাইল রাজিব বলেন, ৯ বছর প্রায় শেষ কিছুদিন পর ১০ বছর পরবে সোহরাওয়ার্দী কলেজে আছি কিন্তু আজ পর্যন্ত কলেজের এক ক্লাস পানি না খাওয়া আমি। কারণ এগুলোই, ঠিক মতো ট্যাংকে পাইপ কিছুই পরিষ্কার করা হয় না, এখন তো দেখি ট্যাংকে ডাকনাই নাই!

এই বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহসিন কবীর বলেন- এটা বানরের অত্যাচার। এই বানরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ পুরান ঢাকাবসী। এই বানর কিছুদিন পর পর পানির ট্যাংকির ঢাকনা খুলে নিয়ে যায়। সর্বশেষ এবারও টাংকির ঢাকনা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তিনি আপাতত এই পানি ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।

এছাড়াও তিনি বলেন, আজই মজবুত ভাবে ঢাকনা প্রতিস্থাপন করা হবে। পাশাপাশি টাংকি পরিষ্কার করে মেরামত করা হবে।

নয়াশতাব্দী/জেডিএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ