ঢাকা, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাকাত: আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তার রক্ষাকবচ

প্রকাশনার সময়: ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১৪:০২

জাকাত। ইসলামের এক শাশ্বত বিধান। নিছক ইবাদত ছাড়াও এতে রয়েছে আত্মিক ও সামাজিক উৎকর্ষ। জাকাত যেমনিভাবে মুসলিমদের পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বিধান করে, তেমনি ধনী-গরিবের বৈষম্যেরও হ্রাস ঘটায়। জাকাত হলো আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তার রক্ষাকবচ। কোনো সমাজের দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যাওয়া ও দেউলিয়া হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচার হাতিয়ার। জাকাত বিধানের যথাযথ প্রয়োগ হলে সমাজে সুবিধাবঞ্চিত ও অসহায়-দুস্থ মানুষ যেমন থাকবে না, তেমনি মুষ্টিমেয় কিছু পুঁজিপতির হাতে একতরফা সম্পদের পাহাড় গড়ে ওঠারও সুযোগ থাকবে না। নিম্নে এ বিষয়গুলো নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করা হলো।

জাকাত একটি ইবাদত

জাকাত ইসলামের অন্যতম ফরজ ইবাদত। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হলো জাকাত। কোরআন মাজিদের অনেক আয়াতে নামাজের পাশাপাশি জাকাত আদায়ের আদেশ দেয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা সালাত আদায় করো এবং জাকাত প্রদান করো।’ (সুরা বাকারা (০২): ১১০)

এ ছাড়া জাকাত প্রকৃত পুণ্যশীলের পরিচয়, মুমিনের বন্ধু, সৎকর্মপরায়ণদের বৈশিষ্ট্য, মসজিদ আবাদকারী, কোরআন মাজিদে যাদের জন্য রয়েছে শুভসংবাদ, যাদেরকে বলা হয়েছে হেদায়েতপ্রাপ্ত, ভূ-পৃষ্ঠে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব লাভকারী মুমিনের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদিসহ দ্বীনের মৌলিক পরিচয়ের ক্ষেত্রেও সালাত-জাকাতের বিষয়টি অবধারিতভাবেই আসে।

হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘ইসলামের স্তম্ভ পাঁচটি এ সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, হজ করা ও রমজানের রোজা রাখা।’ (সহিহ বুখারি: ০৮; মুসলিম: ১৬)

ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রাহ.) বলেন, ‘জাকাত শরিয়তের এমন এক অকাট্য বিধান, যে সম্পর্কে দলিল-প্রমাণ দিয়ে আলোচনা নিষ্প্রয়োজন। জাকাত সংক্রান্ত কিছু কিছু মাসআলায় ইমামদের মতভিন্নতা থাকলেও মূল বিষয়ে অর্থাৎ জাকাত ফরজ হওয়া সম্পর্কে কোনো দ্বিমত নেই। জাকাতের ফজিলতকে যে অস্বীকার করে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়।’ (ফাতহুল বারী ৩/৩০৯)

জাকাত ঈমান প্রকাশের মাধ্যম

একজন ব্যক্তির মুসলমান হওয়া এবং তার ঈমান প্রকাশের একটি উপায় হলো জাকাত। কোরআন মাজিদে সালাত আদায় করা ও জাকাত প্রদানকে মুসলিম হওয়ার আলামত সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এরপর যদি তারা (কাফেররা) তওবা করে, নামাজ আদায় করতে শুরু করে এবং জাকাত দিতে শুরু করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। বাস্তবিকপক্ষেই আল্লাহ বড় ক্ষমাশীল এবং বড় অনুগ্রহকারী।’ (সুরা তওবা (০৯): ০৫)

আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আমাকে মানুষের সঙ্গে লড়াই করার আদেশ করা হয়েছে, যতক্ষণ না তারা এই সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল। আর যতক্ষণ না তারা নামাজ কায়েম করে এবং জাকাত আদায় করে। তারা যদি এটা করে, তাহলে নিজেদের প্রাণ ও সম্পদকে হেফাজত করল। যদি না ইসলামের বিধান অনুযায়ী প্রাণ ও সম্পদের নিরাপত্তা রহিত হয়। আর তাদের (অন্তরের অবস্থার) হিসাব আল্লাহর ওপর।’ (সহিহ বুখারি, ২৫; সহিহ মুসলিম: ২২)

জাকাত আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে

জাকাতের মাধ্যমে মানবাত্মা পরিশুদ্ধ হয়। কৃপণতা, স্বার্থপরতা, আমিত্ব ইত্যাদি আত্মিক ব্যাধি থেকে জাকাত আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আর ফকির-মিসকিনদের প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন থেকেও মনকে পবিত্র করে। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি তাদের সম্পদ থেকে সদকা গ্রহণ করুন, যার দ্বারা আপনি তাদেরকে পাক-পবিত্র করবেন।’ (সুরা তওবা (৯): ১০৩)

আনাস ইবনে মালিক (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত, তামীম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর দরবারে এসে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি অনেক সম্পদশালী। আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি এবং আমার ধন-সম্পদ ও ঘর-বাড়ির পরিমাণও বেশি। আমি কী করব এবং কীভাবে খরচ করব— এ বিষয়ে পরামর্শ দিন।

আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করলেন, ‘তোমার সম্পদের জাকাত আদায় করো। কেননা জাকাত হলো পবিত্রকারী। এটি তোমাকে পবিত্র করবে, তোমার আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখবে এবং মিসকিন, প্রতিবেশী ও সুওয়ালকারীর হক সম্পর্কে অবগত করবে।’ (মুসনাদে আহমাদ: ১২৩৯৪)

জাকাত সম্পদ বৃদ্ধি করে

সম্পদের যথাযথ জাকাত আদায় করলে একদিকে যেমন মন ও আত্মার পরিশুদ্ধি হয়, তেমনি অনাথ-অসহায়ের প্রতি সহানুভূতির মাধ্যমে সম্পদে পবিত্রতা ও খায়ের-বরকত আসে। আর আল্লাহ তায়ালা এর সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করতে থাকবেন। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যা তোমরা এই উদ্দেশ্যে দেবে যে, তা মানুষের সম্পদে পৌঁছে বর্ধিত হয়ে আসবে, তা আল্লাহর কাছে বর্ধিত হয় না। আর যা জাকাত দেবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তো এমন মানুষই আল্লাহর কাছে বৃদ্ধি করতে থাকবে।’ (সুরা রূম (৩০) ৩৯)

আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘সদকা দ্বারা সম্পদের হ্রাস ঘটে না। বান্দার ক্ষমার কারণে আল্লাহ তার সম্মানই বাড়িয়ে দেন। আর আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে বিনয় অবলম্বনকারীকে আল্লাহ মর্যাদাবান করে দেন।’ (মুসলিম: ২৫৮৮)

জাকাত সম্পদের ইনসাফভিত্তিক বণ্টন ব্যবস্থা

ইসলাম যেমন ব্যক্তিকে সম্পদের জাকাত প্রদানের আদেশ দিয়েছে, তেমনি ইসলামি শাসনব্যবস্থায় পরিচালিত রাষ্ট্রকে জাকাত উসুল করা এবং এর সুষম ও ইনসাফভিত্তিক বণ্টনেরও বিধান দিয়েছে। যার দরুন জাকাত আর্থসামাজিক কল্যাণ ও মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিধান করে। জাকাতের মাধ্যমে সম্পদের একটি কল্যাণকর ও ইনসাফভিত্তিক বণ্টনব্যবস্থা অস্তিত্ব লাভ করে, যা একটি সমাজের স্বনির্ভরতা অর্জন, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মৌলিক প্রয়োজনাদি পূরণ ও সমাজের সব মানুষের সম্মানজনক জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টির এক কার্যকরী ব্যবস্থা।

মুআয (রা.)কে ইয়ামেনে গভর্নর হিসেবে প্রেরণের সময় আল্লাহর রাসুল (সা.) তাকে যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তাতে ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তাদের ওপর জাকাত অপরিহার্যরূপে নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যা তাদের সম্পদশালীদের থেকে গ্রহণ করা হবে এবং দরিদ্রদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি: ১৪৯৬; সহিহ মুসলিম: ১৭)

তবে ব্যক্তির গচ্ছিত সম্পদ, স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার ইত্যাদি, যা মানুষ একান্তই নিজের কাছে রাখে, এগুলোর জাকাতের হিসাব রাষ্ট্র খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করবে না; বরং এগুলোর জাকাত আদায়ের দায়িত্ব শরিয়ত ব্যক্তির জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে। মুমিন বান্দা ও বান্দীগণ তাদের ঈমানের দাবি থেকে যথাযথ হিসাব করে এসব সম্পদের জাকাত নিজ দায়িত্বে আদায় করবে।

জাকাত দরিদ্র শ্রেণির প্রতি করুণা নয় বরং তাদের অধিকার

আল্লাহ তায়ালা দুনিয়ায় মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাদের মধ্যে কর্মে কে উত্তম তা পরীক্ষা করেন। কখনো সম্পদ দিয়ে পরীক্ষা করেন আবার কখনো সম্পদ হরণ করে। আর মানুষের মধ্যে সম্পদের তারতম্য থাকা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে সমাজের ভারসাম্য বজায় থাকে। আল্লাহ চাইলে সবাইকে ধনী বা গরিব বানাতে পারতেন। কিন্তু তখন আর ভারসাম্য রক্ষা হতো না। ধনী-গরিবের পরীক্ষা হতো না। তিনি একদিকে যেমন ধনীকে সম্পদ দিয়েছেন তেমনি তার সম্পদে গরিবের হকও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তাদের সম্পদে নির্ধারিত হক রয়েছে প্রার্থনাকারীর জন্য এবং বঞ্চিতদের জন্য।’ (সুরা মাআরিজ (৭০): ২৪-২৫)

অন্য আয়াতে ধনীকে গরিবের সম্পদের প্রতিনিধি আখ্যা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, (তরজমা) ‘আর তোমরা ওই সম্পদ থেকে দান করো, যাতে তোমাদেরকে প্রতিনিধি বানানো হয়েছে।’ (সুরা হাদীদ (৫৭): ৭)

তাই মুমিন ধনী ব্যক্তির বিশ্বাস হলো- সম্পদের প্রকৃত মালিক আল্লাহ তায়ালা। তিনি নিজ অনুগ্রহে আমাকে সম্পদশালী করেছেন আবার গরিবের নিকট তার হক পৌঁছে দেয়ারও প্রতিনিধি বানিয়েছেন। সে আল্লাহর আদেশ পালনের জন্য, তাঁর নৈকট্য ও সন্তুষ্টির আশায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে সম্পদের যথাযথ জাকাত আদায়ে উদ্বুদ্ধ হয়। ফলে সে জাকাত প্রদান করাকে গরিবের প্রতি অনুগ্রহ বা করুণা মনে করে না। সে বরং এই ভেবে আল্লাহর শোকর আদায় করে যে, আল্লাহর আদেশ মোতাবেক নির্ধারিত হকদারকে তার হক পৌঁছে দিতে পেরেছে।

জাকাত আদায়ের ফজিলত

জাকাত আদায়ের সবচেয়ে বড় ফজিলত তো এই, আল্লাহ তায়ালা জাকাত আদায়কারীর জন্য অভয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা নিজেদের ধন-সম্পদ রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তাদের জন্য রয়েছে পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের নিকট। তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা ভারাক্রান্তও হবে না।’ (সুরা বাকারা (২): ২৭৪)

আর যে কোনো দান-সদকার ব্যাপারে তো আল্লাহ তায়ালার ঘোষণা হলো, ‘যারা নিজেদের ধন-সম্পদ আল্লাহর পথে ব্যয় করে, তাদের দৃষ্টান্ত হলো একটি শস্যবীজের মতো, যাতে সাতটি শীষ উৎপন্ন হয়। আর প্রত্যেক শীষে থাকে একশত শস্যদানা। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা বহুগুণে বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা বাকারা (২): ২৬১)

জাকাত আদায় না করার ভয়াবহতা

আগেই বলা হয়েছে, জাকাত একটি ফরজ বিধান। তাই জাকাত আদায় না করা আল্লাহর বিধানের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ছাড়া কোরআন মাজিদে জাকাত আদায় না করার ভয়াবহ শাস্তির কথাও স্পষ্ট উল্লেখ হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘আর আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে যা তোমাদেরকে দিয়েছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তারা যেন কিছুতেই মনে না করে যে, এটা তাদের জন্য মঙ্গল। না, এটা তাদের জন্য অমঙ্গল। যে সম্পদে তারা কৃপণতা করেছে কিয়ামতের দিন তা-ই তাদের গলায় বেড়ি হবে। আসমান ও জমিনের স্বত্ব্বাধিকার একমাত্র আল্লাহই। তোমরা যা কর আল্লাহ তা বিশেষভাবে অবগত।’ (সুরা আলে ইমরান (৩): ১৮০)

আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু সে তার জাকাত দেয়নি কিয়ামতের দিন তা বিষধর স্বর্পরূপে উপস্থিত হবে এবং তা তার গলায় পেঁচিয়ে দেয়া হবে। সাপটি তার উভয় অধরপ্রান্তে দংশন করবে এবং বলবে, আমিই তোমার ধন, আমিই তোমার পুঞ্জিভূত সম্পদ।’ (সহিহ বুখারি: ১৪০৩)

জাকাত আদায় না করার একটি অনিবার্য পরিণতি হলো, সমাজে বিপর্যয় নেমে আসবে এবং এ বিধানের অন্যতম উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। ফলে ধনী-গরিবের বৈষম্য তীব্রতর হবে। ধনিক শ্রেণি শুধু সম্পদের প্রাচুর্য গড়ে তুলবে। গরিব শ্রেণি শুধু লাঞ্ছনা ও বঞ্চনারই শিকার হতে থাকবে।

প্রসঙ্গত, দৈনিক প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন দেখা যেতে পারে। গত ২৬ জুন ২০২৩-এ প্রকাশিত সংবাদটির শিরোনাম ছিল, ‘১০% ধনীর হাতে ৪১% আয়’। দেশের মোট আয়ে ধনীদের অংশ বাড়ছে। ফলে আয়বৈষম্য বেড়ে চলেছে। উচ্চ বৈষম্যের দেশের দ্বারপ্রান্তে দেশ।

বিস্তারিত সংবাদে বলা হয়েছে, দেশে আয়বৈষম্য আরও বেড়েছে। ধনীদের আয় আরও বেড়েছে। যেমন দেশের সবচেয়ে বেশি ধনী ১০ শতাংশ মানুষের হাতেই এখন দেশের মোট আয়ের ৪১ শতাংশ। অন্যদিকে সবচেয়ে গরিব ১০ শতাংশ মানুষের আয় দেশের মোট আয়ের মাত্র এক দশমিক ৩১ শতাংশ।

দেখা যাচ্ছে, গত ৫০ বছরে ধনীদের আয় অনেক বেশি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে ধনী ও গরিবের আয়বৈষম্য। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) খানার আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২-এর চূড়ান্ত ফলাফলে এই চিত্র উঠে এসেছে।

অথচ ইসলামের জাকাত বিধান ও অন্যান্য দান-সদকার দ্বারা সমাজের ভারসাম্য নিশ্চিত হয়। ধনী-গরিবের বৈষম্য দূর হয় এবং সমাজে সবার আর্থিক নিরাপত্তা বিধান হয়। তাছাড়া ইসলামি অর্থনীতির এক মূলনীতি হলো- শুধু বিত্তবানদের মাঝেই সম্পদ আবর্তিত না হওয়া। কোরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে, ‘যেন তোমাদের মধ্যে যারা বিত্তবান শুধু তাদের মাঝেই ঐশ্বর্য আবর্তন না করে।’ (সুরা হাশর (৫৯): ৭)

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ