ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

২ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর

প্রকাশনার সময়: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ২ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে আশ্রয়ণপ্রকল্পের একাধিক ঘরের চাল উড়ে গেছে। এছাড়াও পুরাতন অনেক ঘর ভেঙে পড়েছে। এতে হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের সুবিধাভোগীরা পরেছে বিপাকে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘীরপাড় আশ্রয়ণপ্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা যায়।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৬টার সময় হঠাৎই কালবৈশাখী ঝড় উঠে। এতে নতুন পুরাতন অনেক ঘরের চাল উড়ে যায়। এছাড়াও ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয় গাছপালার। এখন চরম ভোগান্তিতে জীবনযাপন করছে আশ্রয়ণপ্রকল্পের হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের সুবিধাভোগীরা।

এসময় স্থনীয়রা জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় ২০ থেকে ২৫টি নতুন পুরাতন ঘর ও একটি মসজিদের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়েছে। এছাড়াও বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনার লাইনের তার ছিড়ে পড়েছে, বিভিন্ন বনজ ও ফলজ গাছ ভেঙে সড়ক বন্ধ হয়েছিল। পরে স্থানীয়রা সড়ক পরিষ্কার করেছে।

এ বিষয়ে রানা খালাসী জানান, আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুরাতন ঘরেরর বাসিন্দা। গতকাল হঠাৎই কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ঘরটি ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য আমার মেয়েটা রক্ষা পেয়েছে। এখন ঘরটা যে ঠিক করবো এই সামর্থ্য নেই আমাদের।

ফাহিমা বেগম জানান, আমি আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঘর পেয়েছি। গতকালের ঘূর্ণিঝড়ে আমার বারান্দার চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পরে আজ পাশের ফসিল মাঠের ফেরত থেকে চাল ফেরত এনেছি। আমার বিদ্যুতের মিটারটা উড়ে গেছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মসজিদ ও মক্তবের সভাপতি সাইফুউদ্দিন ব্যাপারী জানান, গতকালের ঝড়ে আমাদের মসজিদ চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে। আমাদের মাইক ও ফ্যান উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

এই বিষয়ে আজিমনগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য তাসলিমা আক্তার জানান, আমি নিজেও এই স্থানের বাসিন্দা। গতকাল মাত্র ২ মিনিটের ঝড়ে এই আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় একাধিক ঘর ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে নতুন ঘরের চাল উড়ে গেছে। এখন নিম্ন আয়ের এসব মানুষের পাশে যদি সরকার দাঁড়ায় তাহলে এরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে।

এই বিষয়ে আজিমনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. টিটু মিয়া জানান, আমার ওয়ার্ডের উপর দিয়ে গতকাল কালবৈশাখী ঝড় গেছে, এতে অনেক বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে পড়ে। আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আকুল আবেদন করছি যেন এদের পাশে এসে দাঁড়ায়। এছাড়াও আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি মসজিদ ও মক্তবের চাল উড়ে গেছে। সমাজের যারা ধনী, তারা যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আবারও মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করা সম্ভব হবে।

এই বিষয়ের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ-খুদার জানান, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমার উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দিঘীরপাড় আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন ঘর কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যাচ্ছি। আমি জানতে পেরেছি, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ আরও কিছু ঘর ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমারা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতা করবো। যাতে করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের হতদরিদ্র মানুষেরা আবার সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ