ঢাকা, রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শামীমের বাঁচার আকুতি, সাহায্যের আবেদন 

প্রকাশনার সময়: ২৯ মার্চ ২০২৪, ২০:৫৩

দুটি কিডনি নষ্ট। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না মো. শামীম সরদার (৩৬)। সমাজের বিত্তশালীদের নিকট হাত বাঁড়িয়েছেন বাঁচার আকুতি নিয়ে। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক ডা. স্বপন কুমার মন্ডল কিডনী ইউনিট, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, ফরিদপুর এর অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন। এর আগে তিনি ঢাকা, শ‍্যামলী সিকেডি হাসপাতালে প্রফেসর ডা. কামরুল ইসলাম ও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রফেসর ডা. তছলিম আহম্মেদ এর অধীনে চিকিৎসা ও ডায়ালাইসিস করিয়েছেন। বর্তমানে তার সপ্তাহে তিনদিন ডায়ালাইসিস করতে হয়।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ডায়ালাইসিসের পাশাপাশি দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন। দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করতে পারলে তবেই বাঁচতে পারে শামীম। আর এ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ১২-১৫ লক্ষ টাকা, যা অসহায় পরিবারটির পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব।

তার পরিবার জানিয়েছে, মো. শামীম সরদারের চিকিৎসায় ইতোমধ্যে মাঠে যতটুকু জমি ছিলো তা বিক্রি করে চিকিৎসায় খরচ হয়ে গেছে। নিজের একটি ট্রাক ছিলো, সেটাও বিক্রি করে চিকিৎসায় খরচ করেছে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে ফরিদপুর থেকে টেষ্ট করানোর পর জানতে পারে তার দুটি কিডনি নষ্ট। সেদিন থেকেই চিকিৎসা করাচ্ছেন। এখন শেষ সম্বল হিসেবে তার বাড়ির ৪/৫ শতাংশ জায়গাই রয়েছে। তাদের এই অসহায় পরিবারের পক্ষে চিকিৎসার এতো টাকা যোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই সমাজে বিত্তশালী, ধনবান ব্যাক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন পরিবারটি।

জানা যায়, রাজবাড়ীর জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ড তোরাপ শেখের পাড়া গ্রামের মো. ইসলাম সরদারের ছেলে মো. শামীম সরদার। শামীম পেশায় একজন ট্রাক চালক ছিলেন। অসুস্থতার কারণে গত ৩ বছর কোনো কাজ করতে পারেন না।

শামীম সম্পর্কে তার প্রতিবেশীরা জানান, সে একজন ভালো লোক। বছর তিনেক আগে তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়েছে। সে অত্যন্ত বিনয়ী, ভালো ছেলে। হঠাৎ করে তার এমন রোগ ধরা পড়ল, যা সত্যিই দুঃখজনক। তার মাঠে যতটুকু জমি ছিলো, সেটা বিক্রি করে সর্বত্র চিকিৎসা করিয়েছেন। নিজের একটি ট্রাক ছিলো, সেটাও বিক্রি করেছে। এখন আর তার সামর্থ্য নাই চিকিৎসা করার। সমাজের বিত্তবানদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

স্ত্রী মোছা. কল্পনা বেগমও স্বামীর রোগ শনাক্ত হবার পর তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। তার বৃদ্ধ বাবা-মা ছাড়া তাকে সেবা করার কেউ নেই।

দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফজলুল হক বেপারী বলেন, লোকটি খুবই দরিদ্র। টাকার অভাবে তার চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে। আমার সাধ‍্য অনুযায়ী শামীমের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো।

এ ব্যাপারে দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল বলেন, শামীম ছেলেটি অনেক ভালো মনের মানুষ। আমি বছরখানেক আগে শুনেছি ছেলেটির দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। অসহায় পরিবারটির পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। আমি তার জন্য সাহায্যের চেষ্টা করবো।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ