ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক, পুলিশ সদস্য কারাগারে

প্রকাশনার সময়: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:০০

নরসিংদীর রায়পুরায় বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে ইমন মিয়া (২৮) নামে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ এলাকায়।

এ ঘটনায় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে আসামি ইমন মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ কনস্টেবল ইমন মিয়া উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউরনগর এলাকার মাহে আলমের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৮ মাস আগে ওই তরুণীর সঙ্গে কনস্টেবল ইমনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে ওই তরুণীকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করেন ইমন মিয়া।

সম্প্রতি দুজনের মধ্যে সর্ম্পকের অবনতি দেখা দেয়। এরই জেরে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দেখা করতে প্রেমিকার বাড়িতে আসেন ইমন মিয়া। এসময় আবারও শারীরিক মেলামেশা করতে চাইলে, তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেন ওই তরুণী। তবে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা মিলে ইমনকে আটক করে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এর আগে এক প্রবাসীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। অন্যদিকে কনস্টেবল ইমনও বিবাহিত। তিনি দুই সন্তানের জনক।

ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক মেলামেশা করেছে ইমন। এখন সে আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। এ ঘটনায় আমি ইমনের নামে থানায় মামলা করেছি।’

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক আব্দুল হালিম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পরে অভিযুক্তকে প্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এনএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ