ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

মেসি হবেন ’২২-এর ম্যারাডোনা?

প্রকাশনার সময়: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৩১

ফুটবল মাঠের অনেক বিষয়ে ডিয়েগো ম্যারাডোনার সঙ্গে লিওনেল মেসিকে তুলনা করা হয়। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে বলতে গেলে একক নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিতেয়েছিলেন ম্যারাডোনা। সেই ম্যারাডোনার সঙ্গে এবারের বিশ্বকাপে মেসির মিল আছে বেশ কিছু জায়গায়। প্রায় একইভাবে এগুচ্ছেন মেসি। ফাইনালে দলকে জেতাতে পারলে ম্যারাডোনার পর বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক হবেন মেসি।

১৯৮৬ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত ৬ ম্যাচের পাঁচটিতে জয় ও একটি ড্র করেছিল আর্জেন্টিনা। পাঁচ ম্যাচে সরাসরি অবদান রেখেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। গোল করেছিলেন ৫টি, করিয়েছিলেন ৪টি। ২০২২ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতেছে, হেরেছে একটি। ৬ ম্যাচের চারটিতে সরাসরি অবদান লিওনেল মেসির। পাঁচ গোল করেছেন, করিয়েছেন ৩টি।

’৮৬-তে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তিন গোলেই অ্যাসিস্ট ছিল ম্যারাডোনার। দ্বিতীয় ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে গোল করে দলকে এনে দেন এক পয়েন্ট। আর্জেন্টিনা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ২-০ গোলে হারায় বুলগেরিয়াকে। সেখানে দলের শেষ গোলটি করেন বুরুচাগা। সেই গোলের অ্যাসিস্ট ছিল ম্যারাডোনার। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার গ্রুপ পর্বের হিসাব করলে প্রথম ম্যাচে মেসি পেনাল্টি থেকে গোল করলেও দল হারে। দ্বিতীয় ম্যাচে মেসি গোল ও অ্যাসিস্ট করেন। আর্জেন্টিনা ২-০তে জেতে। তৃতীয় ম্যাচে মেসি পেনাল্টি পেয়ে মিস করলেও দল ঠিকই ২-০তে জয় তুলে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে।

১৯৮৬তে শেষ ষোলোতে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে হারায় উরুগুয়েকে। কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনা একাই দুই গোল করে দলকে তুলেছিলেন সেমিফাইনালে। ম্যারাডোনার সেই দুই গোল নিয়ে এখনো হয় আলোচনা-সমালোচনা। একটিকে ‘হ্যান্ড অব গড’, অপরটিকে বলা হয় ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’। সেমিফাইনালেও বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুই গোল করে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন ম্যারাডোনা।

মেসি শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একটি গোল করেন। তার দল জেতে ২-১ গোলে। কোয়ার্টারে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একটি গোল ও অ্যাসিস্ট করেন। ২-২ সমতায় শেষ হওয়ার পর আলবিসেলেস্তেরা জেতে টাইব্রেকারে। সেখানেও বল জালে পাঠান মেসি। আর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে প্রথমে পেনাল্টি থেকে গোল করেন, পরে আলভারেজের দ্বিতীয় (ম্যাচের তৃতীয়) গোলে অ্যাসিস্ট করেন। অ্যাসিস্টটি ছিল দেখার মতো। মিডফিল্ড থেকে ডানপ্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে পাস দেন আলভারেজকে।

১৯৮৬-র ফাইনালে ম্যারাডোনা বুরুচাগার গোলের অ্যাসিস্ট করেছিলেন। সেই গোলেই শিরোপা জিতেছিল দল। মেসির সামনে সুযোগ আজ ফাইনাল জিতে ৩৬ বছর পর দলকে শিরোপা জেতানোর।

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ