ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

ইবাদতের মৌসুম মাহে রমজান

প্রকাশনার সময়: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৯ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:২২

আল্লাহ তায়ালা রাত-দিনকে একে অপরের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আর বছরের মাসগুলোর মধ্য থেকে একটি মাসকে আলোকিত মাস হিসেবে নির্বাচন করেছেন এবং তাকে অনেক ফজিলত ও সম্মানে ভূষিত করেছেন। এ মাসেই মহাগ্রন্থ আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে এবং এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, শয়তানকে শিকলবদ্ধ করা হয় ও পাপসমূহ মোচন করা হয়- যদি কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে।

নবী (সা.) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমা থেকে আর এক জুমা এবং এক রমজান থেকে আর এক রমজান, এগুলো এর মধ্যকার সংঘটিত সগীরা গুনাহ মুছে ফেলে; যদি কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।’ (মুসলিম)

ইমাম নববী (রহ.) বলেন, ‘উল্লেখিত প্রতিটি আমল পাপ মোচনের জন্য উপযুক্ত, যদি তার ক্ষমাযোগ্য পাপ থাকে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর যদি তার সগীরা বা কবীরা গুনাহ না থাকে তাহলে তার আমলনামায় নেকী লিখে দেয়া হয় এবং মর্যাদা বাড়িয়ে দেয়া হয়। আর যদি এক বা একাধিক কবীরা গুনাহ থাকে এবং সগীরা গুনাহ না থাকে তাহলে আশা করা যায় কবীরা গুনাহের শাস্তি হালকা করে দেয়া হবে।’

যে ব্যক্তি এ মাসের দিনে ঈমানের সঙ্গে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় সিয়াম পালন করবে তার পূর্বের পাপসমূহ মোচন করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি এ মাসের রাতে ঈমানের সঙ্গে এবং সওয়াবের প্রত্যাশায় কিয়ামুল লাইল করবে তার পূর্বের পাপসমূহ মোচন করে দেয়া হবে। (সহীহ বুখারি ও মুসলিম)

শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়াহ (রহ.) বলেন, ‘এ ঈমান থাকতে হবে যে, আল্লাহ তায়ালা এটাকে শরিয়তসিদ্ধ করেছেন, আবশ্যক করেছেন, এর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন। আর আল্লাহর নিকট তার সওয়াবে প্রত্যাশা করার অর্থ হলো, তা খালেসভাবে সম্পাদন করা এবং তার সওয়াব কামনা করা।’ এ মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সিয়াম পাপাচার ও জাহান্নাম থেকে রক্ষা করে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘সিয়াম ঢালস্বরূপ।’ (বুখারি ও মুসলিম) আর সিয়ামের প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং নিজেই দান করবেন। নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বলেন, আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম তার জন্যই; কিন্তু সিয়াম ব্যতীত, তা আমারই জন্য, আর আমিই তার প্রতিদান দেব।’ (বুখারি ও মুসলিম)

ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, ‘এর অর্থ হলো— সমস্ত আমলের সওয়াবের পরিমাণ মানুষের নিকট প্রকাশ করা হয়েছে। তা দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয় বা আল্লাহর ইচ্ছায় এর চেয়েও অধিক বৃদ্ধি করা হয়। তবে সিয়াম ব্যতীত; কেননা আল্লাহ এর প্রতিদান কোনো পরিমাপ ব্যতীত সীমাহীনভাবে দেবেন। ফজিলতপূর্ণ সময়ে নেক আমল আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

আর সর্বোত্তম নেক আমল হলো আল্লাহর তাওহীদ এবং একনিষ্ঠভাবে তাঁর উদ্দেশ্যে আমল করা। মানবজাতিকে এরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদেরকে কেবল এই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তারা যেন আল্লাহর ইবাদত করে তাঁরই জন্য দ্বীনকে একনিষ্ঠ করে।’ (সুরা আল-বায়্যিনাহ: ৫) আর নেক আমলসমূহ গৃহিত হয় না রাসুল (সা.) এর সুন্নাতের অনুসরণ ব্যতীত। তার আনুগত্য জান্নাত লাভ আবশ্যক করে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি) সালাত হলো দ্বীনের স্তম্ভ। যে ব্যক্তি সালাতের হেফাজত করবে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অঙ্গীকার রয়েছে যে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। নবী (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি এগুলো আদায় করবে এবং কোনটিকে হালকা জ্ঞানে ছেড়ে দেবে না, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা হলো— তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ) যে ব্যক্তি ফরজ সালাত থেকে ঘুমিয়ে থাকল সে রমজানকে মূল্যায়ন করতে পারল না। আর যে ব্যক্তি সুন্নাত ও নফল সালাত আদায়ে অলসতা করল সে রমজানের ফজিলত থেকে গাফেল রইল।

কোরআনুল কারিমের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা এই উম্মতের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি তাদের নিজেদের মধ্য থেকে তাদের কাছে রাসুল পাঠিয়েছেন, যিনি তাঁর আয়াতসমূহ তাদের কাছে তিলাওয়াত করেন।’ (সুরা আলে-ইমরান: ১৬৪) এই কোরআনের নাম অনেক, তার বিশেষণ নানাবিধ এবং আল্লাহ অসংখ্য নিয়ামতের ওপর তার আলোচনাকে প্রাধান্য দিয়েছেন।

কোরআন তিলাওয়াত ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তার আয়াত জ্ঞানীদেরকে কাঁদায়। যে ব্যক্তি কোরআন তিলাওয়াত করে ও সে অনুযায়ী আমল করে আল্লাহ তার প্রশংসা করেছেন এবং তাকে অধিক পরিমাণে ও পূর্ণাঙ্গরূপে প্রতিদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় যারা আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে এবং সালাত কায়েম করে, আর আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করে এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। যাতে আল্লাহ তাদের কাজের প্রতিফল পরিপূর্ণভাবে দেন এবং তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে আরও বেশি দেন।’ (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)

আর কোরআন তিলাওয়াতের সর্বোত্তম সময় হলো কোরআন অবতীর্ণের মাস। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দানবীর। রমজানে তিনি আরও বেশি দানশীল হতেন, যখন জিবরীল (আ.) তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন। আর রমজানের প্রতি রাতেই জিবরীল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন এবং তারা পরস্পর কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন।’ (বুখারি ও মুসলিম) ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, ‘সময়, নাজিলকৃত বিষয় তথা কোরআন, যিনি তা নিয়ে নাজিল হতেন তথা জিবরীল এবং পরস্পর অধ্যয়ন; হাদিসে উল্লেখিত এ বিষয়গুলোর সমন্বিত রূপ দানশীলতাকে আরও বর্ধিত করে।’

মানুষের মাঝে সবচেয়ে সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে আল্লাহর কিতাবের অধিক নিকটবর্তী। আর যার হূদয়কে কোরআন দ্বারা উপকৃত হওয়া থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে সে কখনো অন্য কিছু দ্বারা হেদায়েত পাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘কাজেই আল্লাহ এবং তাঁর আয়াতের পরে তারা আর কোন বাণীতে ঈমান আনবে?’ (সুরা আল-জাসিয়া: ৬)

কিয়ামুল লাইল আদায় করা জান্নাতিদের বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তারা রাত্রির সামান্য অংশই নিদ্রায় অতিবাহিত করত।’ (সুরা আয-যারিয়াত: ১৭) তাছাড়া ফরজ সালাতের পর ব্যক্তির রাতের সালাতই অধিক উত্তম সালাত। (সহীহ মুসলিম) কাজেই আপনি ইমামের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত তারাবির সালাত আদায়ে যত্নবান হোন; যাতে আপনি আল্লাহর উপহার লাভের উপযুক্ত হতে পারেন। নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত তারাবির সালাত আদায় করে, তার জন্য সারা রাত কিয়ামুল লাইল আদায়ের সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়।’ (সুনানে তিরমিজি)

দোয়া আসমানকে ভেদ করে অপ্রতিরোধ্যভাবে আল্লাহর নিকট পৌঁছে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০) আল্লাহর দুহাত প্রসারিত; রাতদিন সর্বদা দানে অবিরত। তাঁর ভান্ডার পরিপূর্ণ। নবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর হাত পরিপূর্ণ, রাত দিনের খরচেও তা কমে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

সুতরাং আপনি মহান দাতা আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ -হেদায়েত, সন্তানদের কল্যাণ, সুখ, সমৃদ্ধি, হালাল রিজিক ও জান্নাতে প্রবেশ সহ যা ইচ্ছে কামনা করুন। আর আপনার প্রভুর কাছে আপনার যা ইচ্ছা তাই দোয়া করুন; মহান আল্লাহ বলেন, ‘আমি আহ্বানকারীর আহ্বানে সাড়া দিই যখন সে আহ্বান করে।’ (সুরা আল-বাকারা: ১৮৬)

দান-সদকা করা ঈমানের প্রমাণ বাহক এবং তার মধ্যে সর্বোত্তম হলো যা রমজান মাসে করা হয়। দান ও অর্থ ব্যয় করা ব্যক্তির জন্য মঙ্গলজনক। দানকারী যা খরচ করে তার প্রতিদান গচ্ছিত রাখার জন্য প্রতিদিন ফেরেশতাগণ দোয়া করতে থাকেন; নবী (সা.) বলেন, ‘প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের বিনিময় দিন। আর অপরজন বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস দিন।’ (বুখারি ও মুসলিম)

কিয়ামতের দিন প্রত্যেক ব্যক্তি তার দানের ছায়াতলে থাকবে। আর যাদেরকে আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন তাদের অন্যতম হলো— ‘যে ব্যক্তি গোপনে এমনভাবে সদকা করে যে, তার ডান হাত যা দান করে বাম হাত তা জানতে পারে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

মৃত্যুর সময় ব্যক্তির আফসোসের অন্যতম কারণ হবে সদকা না করা। আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় কর তোমাদের কারও মৃত্যু আসার পূর্বে। কেননা তখন সে বলবে, হে আমার রব, যদি আপনি আমাকে আরও কিছুকাল অবকাশ দিতেন, তাহলে আমি দান-সদকা করতাম। আর সৎ লোকদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’ (সুরা আল-মুনাফেকূন: ১০) রমজানে উমরা পালনের সওয়াব বিশাল। নবী (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় রমজানে উমরা পালন হজের ন্যায়।’ (বুখারি)

একনিষ্ঠ তওবা একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষই তওবার গুরুত্ব ও মর্ম জানে না।’ এটা ব্যতীত কোনো বান্দা পরিপূর্ণ হয় না এবং সে আল্লাহর পূর্ণ নৈকট্যও অর্জন করতে পারে না। তাই আল্লাহ তায়ালা সকল মুমিনকে তওবা করতে আদেশ করেছেন, যাতে তারা সফল হতে পারে। এ মর্মে তিনি বলেন, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’ (সুরা আন-নূর: ৩১)

স্বয়ং আল্লাহ নিজের নাম রেখেছেন ‘তাওয়াব’ তথা তওবা কবুলকারী; যাতে বান্দারা তাঁর অভিমুখী হয়। কেননা যদি কোনো ব্যক্তি তওবা করার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে অগ্রসর হয়, তাহলে তিনি তাতে আনন্দিত হন ও তাকে আশ্রয় দেন এবং তার পাপগুলাকে সওয়াবে পরিণত করে দেন। যে দিনটিতে মানুষ তওবা করে সেদিনটিই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। কা’ব বিন মালিক (রা.)-এর তওবা যখন আল্লাহ কবুল করলেন, তখন তাকে নবী (সা.) বললেন, ‘তোমার জন্মের পর থেকে সবচেয়ে উত্তম দিনের সুসংবাদ গ্রহণ করো।’ (বুখারি ও মুসলিম)

ইস্তিগফার গুনাহগুলোকে মোচন করে এবং আজাবকে প্রতিহত করে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আল্লাহ এমন নন যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন।’ (সুরা আল-আনফাল: ৩৩) এটা মর্যাদা বৃদ্ধি করে, প্রচুর বৃষ্টি নিয়ে আসে, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি ও ফল-ফসল বৃদ্ধি করে, নদ-নালা প্রবাহিত করে এবং এর মাধ্যমে রহমত অবতীর্ণ হয়; ‘কেন তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছ না? যাতে তোমরা রহমত পেতে পার।’ (সুরা আন-নামল: ৪৬) ইস্তিগফার করা নবী-রাসুলদের নীতি; নবী (সা.) বলেন, ‘আমি দিনে ১০০ বার আল্লাহর কাছে ইস্তিগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করি।’ (মুসলিম)

পুরুষদেরকে যেসব ইবাদত পালন করতে আদেশ দেয়া হয়েছে তা পালনে নারীরাও আদিষ্ট। যেমন কোরআন তিলাওয়াত করা, দান করা, দোয়া করা, ক্ষমা চাওয়া, তওবা করা ও কিয়ামুল লাইল আদায় করা- তবে তাদের ঘরে সালাত আদায় করা মসজিদে আদায় করার চেয়ে উত্তম। নবী (সা.) বলেছেন, ‘তাদের ঘরই তাদের জন্য উত্তম।’ (মুসনাদে আহমাদ) পরিশেষে, হে মুসলমানগণ! রমজানের দিনগুলো শেষ হতে শুরু করেছে; জ্ঞানী ব্যক্তি তিনিই যিনি এ দিনগুলোর সদ্ব্যবহার করেন। জীবন তো নির্ধারিত কিছু শ্বাস-প্রশ্বাস এবং সীমিত আয়ুর নাম; আর দিনগুলো এই আয়ুর শেষ সীমায় পৌঁছার বাহন। সুতরাং আপনারা আমল করুন, সুধারণা পোষণ করুন এবং সুসংবাদ গ্রহণ করুন; বস্তুত প্রবঞ্চিত সে ব্যক্তি যে আল্লাহর আনুগত্য না করে ফিরে যায় বা ব্যস্ত থাকে। আর বঞ্চিত সে যে রমজানেও কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হয়। মূলত শেষের পূর্ণতাই গুরুত্বপূর্ণ, শুরুর অপূর্ণতা নয়; যেহেতু শেষ অবস্থার ওপর ভিত্তি করেই আমল বিবেচিত হয়। (২২ মার্চ ২০২৪ মদিনার মসজিদে নববিতে দেয়া জুমার খুতবার অনুবাদ)

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ