ঢাকা, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

দোয়া কবুল হয় রোজাদারের

প্রকাশনার সময়: ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৬

রমজানের অফুরন্ত কল্যাণের অন্যতম দিক হলো এ মাসে রোজাদারের দোয়া কবুল করা হয়। রমজান শুধু ইবাদতের বিশেষ মৌসুম নয়, দোয়ারও অতুলনীয় উপলক্ষ্য। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারায় পরপর কয়েকটি আয়াতে রমজান ও রোজা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে।

আল্লাহ তাঁর নবীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে, (তাদের বল) আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, আমি তাদের প্রার্থনা কবুল করি, যখন তারা আমার কাছে প্রার্থনা করে। (সুরা বাকারা: ১৮৬)।

কোরআনের ব্যাখ্যাবিশারদদের মতে, রোজার আলোচনার ধারাবাহিকতায় দোয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপনের মাধ্যমে রোজাদারের দোয়া বিশেষ কবুলযোগ্য বলে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তাই রোজাদারের করণীয় আমলগুলোর মধ্যে দোয়াও অতি গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল (সা.) এ কথা হাদিসে পরিষ্কার করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফেরত দেয়া হয় না। রোজাদারের দোয়া, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ইফতার করে; ন্যায়পরায়ণ শাসকের দোয়া এবং মজলুম ব্যক্তির দোয়া।’ (তিরমিজি)

আমরা হাদিসে কুদসি থেকে জেনেছি, রোজা শুধু আল্লাহর জন্য, তাই রোজার পুরস্কার আল্লাহ নিজেই দেবেন। রোজাদারের জন্য কিয়ামতে ও জান্নাতে অকল্পনীয় পুরস্কার ছাড়াও দুনিয়ায় উত্তম পুরস্কার হলো তার দোয়া বিশেষভাবে কবুল করা হয়। বিশেষত রমজানের প্রত্যেক রাতে এবং ইফতারের আগ মুহূর্তে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইফতারের সময় আল্লাহ বহু লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। আর রমজানের প্রতি রাতেও। সিয়াম পালনকারী প্রত্যেক বান্দার দোয়া কবুল হয়।’ (মুসনাদ আহমদ) আরেক হাদিসে তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই ইফতারের সময় সিয়াম পালনকারীর দোয়া কবুল হয়।’ (বাইহাকি)।

রহমতের এ ভরমৌসুমে তাই বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। বিশেষত শেষ রাতে, সাহরির শেষ সময়ে, ইফতারের আগ মুহূর্তে, রুকু-সিজদায়, ফরজ নামাজের পর, কোরআন তিলাওয়াতের পর, তারাবি নামাজে চার রাকাতের বিরতিতে দোয়ায় মনোনিবেশ করা উচিত। দোয়া করতে হবে কাতরভাবে ও দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে।

পৃথিবীর সবাই তার কাছে বেশি চাইলে বিরক্ত হয়, শুধু আল্লাহই এমন দয়ালু সত্তা, যিনি না চাইলে বরং রাগ করেন। হাদিসের ভাষ্যমতে, তিনি প্রতি রাতে বান্দাকে দেয়ার জন্য ডাকতে থাকেন। কোরআনে তিনি বারবার তাঁর কাছে চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বান্দাকে দ্বিধাহীনভাবে প্রার্থনার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সব গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা জুমার: ৫৪)

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ