ঝড়ে সাহারা মরুভূমির ধূলিকণা আফ্রিকা ছেড়ে ইউরোপে চলে গেছে। আর এতেই কমলা রঙ ধারণ করেছে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের আকাশ। একই অবস্থা দেশটির অন্যান্য অঞ্চলগুলেরও।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে, গ্রিসে যে এমনটি প্রথমবারের মতো হয়েছে তেমনটি নয়। এর আগে ২০১৮ সালেও এমনটি হয়েছিল।
প্রতিবেদনে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, দক্ষিণের দিক থেকে আসা ধুলো ঝড়ে গ্রিসের আকাশ হলুদ ও কমলা রঙয়ে রঙিন হয়ে গেছে। এতে করে দূরের বস্তু দেখতে হচ্ছে সমস্যা। বাড়ছে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ঝুঁকিও। এ জন্য সতর্কতা জারি করেছে গ্রিস কর্তৃপক্ষ।
এথেন্স অবজারভেটরির আবহাওয়া গবেষণা পরিচালক কোস্টাস লাগোয়ার্ডোস বলেন, ‘২০১৮ সালের ২১ ও ২২ মার্চ সাহারা থেকে আসা বালু মেঘ গোটা আকাশকে গ্রাস করেছিল। এরপর এবারই এমনটা হলো।’ মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে এপ্রিলের শুরুতেও সাহারার ধুলো আঘাত হেনেছিল গ্রিসে। এ ছড়াও এই ধুলো পৌঁছে গিয়েছিল সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে।
গ্রিস কর্তৃপক্ষ এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছে, ধুলোর ঘনত্ব সূর্যের আলোকে মাটিতে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত করবে। দৃশ্যমান হ্রাস করবে। সূক্ষ্ম ধুলিকণা দূষণের কারণ হতে পারে। এতে করে স্বাস্থ্য সমস্যা থাকা লোকেদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করবে।
প্রতি বছর গড়ে ৬০ থেকে ২০০ মিলিয়ন টন খনিজ ধুলো সাহার মরুভূমি থেকে উড়ে অন্যত্র চলে যায়। এর মধ্যে ধুলোর বড় কণাগুলো বেশি দূরে যেতে না পারলে ছোটগুলো কয়েক হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
কবে নাগাদ এই আকাশ পরিষ্কার হবে তা জানিয়ে গ্রিসের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী বুধবার নাগাদ আকাশ আগের রূপে ফিরে আসবে। গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গেল কয়েকদিনের দক্ষিণের প্রবল বাতাস গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলে জ্বলতে থাকা দাবানলগুলোকে বাড়িয়ে তুলছে। দেশটির দমকল বাহিনীর তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে ২৫টি দাবানলের তৈরি হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ