বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পাখিদের কলতান। পাখিদের কিচিরমিচির ডাকে ঘুম ভাঙে আবাসিক হলে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের।

শালিক, চড়ুই, ঘুঘু, কোকিল, বুলবুলি, টিয়া, ডাহুক, কাঠ ঠোকরা ইত্যাদি পাখির কলতানে মুখরিত করে রাখে চারপাশ। সচরাচর যেসব পাখি দেখতে পাওয়া যায় না, সেসব দুর্লভ প্রজাতির পাখিও রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। বিভিন্ন ছোটো-বড় গাছে রয়েছে এসব পাখিদের বসবাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্রই রয়েছে পাখিদের অবাধ বিচরণ।

ভোর হলেই পাখিরা এসে হাজির হয় হলের আশপাশের বিভিন্ন গাছে, হলের বারান্দায়, ছাদে কিংবা জানালার কার্নিশে। মধুর কণ্ঠে কিচিরমিচির করতে থাকে আপনমনে। এডাল থেকে ওডালে উড়ে বেড়ায়। কখনো কখনো পাখিদের খুনসুটিও চোখে পড়ে। খড়-কুটো দিয়ে পাখিদের বাসা বাঁধার দৃশ্যও চোখে পড়ে মাঝেমধ্যে। শিক্ষার্থীরাও পাখিদের কলকাকলি আর ছোটাছুটি উপভোগ করেন প্রাণ ভরে। অনেককে আবার খাবার দিতেও দেখা যায়। এ যেন পাখিদের সাথে শিক্ষার্থীদের গভীর ভালোবাসা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০৩ নম্বর রুমের শিক্ষার্থীর সাকিব বলেন, পাখির ডাক শুনে ঘুম ভাঙা এটা আমার নিত্যদিনের অভ্যাস। পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে ভালই লাগে। আমাদের রুমে রয়েছে চড়ুই পাখির সংসার। কিছুদিন আগে তাদের বাচ্চা হয়েছে সারাক্ষণ তারা কিচিরমিচির করে। তাদের এই কিচিরমিচির ডাক শোনা এখন আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।

শহীদ মুক্তার ইলাহী হলের শিক্ষার্থী ফাত্তাহান আলী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই পাখি খুব পছন্দ করি। পাখি ধরার জন্য জঙ্গলেও যেতাম। বাবাকে কতবার আবদার করেছি বাজার থেকে পাখি কিনে নিয়ে আসার জন্য। পাখি পালন আমার শখ ছিল। এখন আমার হল রুমের আশপাশে পাখি বাসা বাঁধে। ওদের মাঝে মাঝে খাবার দেই। চেষ্টা করি কেউ যেন ওদের বিরক্ত না করে।

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসিক হলের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার বলেন, আমাদের হলের আশপাশে অনেক গাছ হওয়ায় পাখি বাসা বেঁধেছে। সকাল হলেই পাখিদের ডাক শোনা যায়। কিছু পাখি হলের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। পাখির ডাক ভালোই লাগে। তবে কাক প্রতিদিন সকালে আমার জানালার কাছে উচ্চস্বরে শব্দ করে, এটি খুবই বিরক্ত লাগে। মাঝে মাঝে তাড়িয়ে দেই তবুও প্রতিদিন আসে।

নয়া শতাব্দী/এনএইচ/এসআর