ঢাকা, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

১৬ হাজার কিমি হেঁটে বাংলাদেশে ভারতীয় যুবক

প্রকাশনার সময়: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১৮:৪৩

প্লাস্টিকের ভয়াবহতা বোঝাতে পরিবেশ রক্ষার আহ্বান নিয়ে ১৬ হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাংলাদেশে এসেছেন ভারতীয় যুবক রোহান আগারওয়াল (২০)। নিজ দেশের ২৭টি রাজ্য ভ্রমণ শেষে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের যুবক রোহান বাংলাদেশের কয়েকটি জেলা ঘুরে জামালপুরে আসেন।

জানা যায়, প্লাস্টিকের ভয়াবহতা নিয়ে সচেতন করতে বিশ্বের ১৫টি দেশে যেতে চান রোহান। ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ভারতের উত্তরপ্রদেশ বারানসির গঙ্গার তীর থেকে হাঁটা শুরু হয় রোহানের। ৮৪৫ দিন আগে যাত্রা শুরু করে এখন পর্যন্ত অতিক্রম করেছেন প্রায় ১৬ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, দিল্লি, চন্ডিগড়, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, পন্ডিচেরি, কর্নাটক, কেরালা ও গোয়া হয়ে মোট ২৭টি রাজ্য পরিভ্রমণ শেষে ৮ অক্টোবর ফেনীর বিলোনিয়া সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এই যুবক।

এরপর ময়মনসিংহ বিভাগ ঘুরে ১৭ ডিসেম্বর জামালপুরে আসেন। পরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী ও জামালপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রোহান।

জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, ‘২০ বছর বয়সে পরিবেশের জন্য কাজ করছেন রোহান। প্লাষ্টিক ও পলিথিন বর্জ্য আমাদের মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আমাদের জলবায়ু ভারসাম্য নষ্ট করছে। আমি মনে করি এটি অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা। তার এই পথচলায় আশা করি সবাই সহযোগিতা করবে।’

শিক্ষার্থীদের প্লাস্টিকের ভয়াবহতা বোঝাতে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ মিলনায়তনে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন রোহান। বলেন, ‘এই পৃথিবী শুধু মানুষের বসবাসের জন্য নয়—প্রাণি ও উদ্ভিদেরও। প্লাস্টিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে। প্লাস্টিক থেকে বাঁচতেই আমার এই যাত্রা। তাই ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছি। আমি ভারতের গভর্নমেন্ট সিকিম প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটির স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পরিবার থাকে নাগপুরে। বাংলাদেশের পর মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, চীন, হংকং, ম্যাকাও, মঙ্গোলিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে মানুষের সঙ্গে প্লাস্টিকের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেছি।’

নয়া শতাব্দী/আরআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ